আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায় এক মর্মস্পর্শী ও ভয়াবহ ঘটনায় স্থানীয়রা হতবাক। এক উভকামী ব্যক্তি তার সমকামী  সঙ্গীর বিরুদ্ধে নিজের ছয় বছরের কন্যা সন্তানের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন এবং অভিযোগ অনুযায়ী, সেই সঙ্গীকেই তিনি আক্রোশে তার যৌনাঙ্গে ছুরিকাঘাত করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই পুরুষ দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে সংসার করছিলেন। মেয়েটির বাবা তার যৌন প্রবণতার কারণে কন্যার মায়ের থেকে আলাদা হয়ে যান এবং রাম বাবু যাদব নামের তার এই সঙ্গীর সঙ্গে একই বাড়িতে  থাকতে শুরু করেন। উভয়েই একসঙ্গে কাজ করতেন। স্থানীয়রা তাদের দম্পতি হিসেবেই চিনতেন।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে তাদের ভাড়া বাড়িতে। সে রাতেই মেয়েটির বাবা নিজের কন্যার কান্না শুনে জেগে ওঠেন এবং খুঁজতে গিয়ে তিনি দেখতে পান যে রাম বাবু যাদব তার নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করছেন। এই দৃশ্য দেখে রাগে  যাদবের যৌনাঙ্গে একের পর এক ছুরিকাঘাত করেন মেয়েটির বাবা। এরপর তিনি নিজেই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে আক্রান্ত রাম বাবু যাদবকে হেফাজতে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকেও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় এবং তদন্ত শুরু হয়।

আরও পড়ুন: অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে ভয়াবহ কাণ্ড, বাইকে ধাক্কা মারার পরই চলন্ত বাসে আগুন! ঝলসে নিহত ২০ যাত্রী

পুলিশের অতিরিক্ত সুপারিনটেন্ডেন্ট সুনিল কুমার সিংহ জানান, মেয়েটির বাবার দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে খুখুন্দু থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত একসঙ্গে কাজ করেন ও বাস করেন। আইনানুগ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, রাম বাবু যাদব একজন শ্রমিক, অন্যদিকে মেয়েটির বাবা স্থানীয় একটি অর্কেস্ট্রায় নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। তাদের মধ্যে কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক চলে আসছিল। মেয়েটির বাবা ও মা তার এই সমলিঙ্গের সম্পর্কের কারণেই আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন এবং সদ্যেই মেয়েটি তার বাবার সঙ্গে থাকতে আসে। পুলিশের বক্তব্য, অভিযুক্ত রাম বাবু যাদব দুজনের সমলিঙ্গের সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

এই ঘটনায় স্থানীয় সম্প্রদায়ের মানুষজন গভীর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন এবং অপ্রথাগত পারিবারিক পরিবেশে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষ জোর দিয়েছেন যে তদন্ত চলমান এবং চিকিৎসা পরীক্ষার রিপোর্ট ও চলতি তদন্তের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।