আজকাল ওয়েবডেস্ক: এএফসি উওমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০২৫-২৬-এর মূল পর্বের ড্রয়ে ভারতের ইস্টবেঙ্গল রয়েছে বি গ্রুপে। মহিলাদের লাল-হলুদ ব্রিগেডের সঙ্গে রয়েছে চিনের উহান জিয়াঙ্গদা ডব্লিুএফসি, ইরানের ক্লাব বাম খাতুন এফসি  ও উজবেকিস্তানের পিএফসি নাসাফ। 

মহিলাদের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়েছিল নম পেন ক্রাউন এফসি-র। সেই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে জিতেছিল। ৭০ মিনিটে লাল-হলুদের প্রমীলাবাহিনীর হয়ে গোলটি করেন ফাজিলা। অন্য ম্যাচে কিচির সঙ্গে ১-১ গোলে খেলা শেষ হওয়ায় নতুন এক ইতিহাস গড়ে লাল-হলুদের মহিলা ব্রিগেড। 

খেলার ৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন সঙ্গীতা। ৫৯ মিনিটে সমতা ফেরায় কিচি। তার পরে বাকি সময়ে কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। ম্যাচ ড্র হওয়ায় গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে ইস্টবেঙ্গল মূলপর্বে যাচ্ছে। গ্রুপ ই-তে ইস্টবেঙ্গল ও নম পেনের সঙ্গে ছিল হংকংয়ের ক্লাব কিচি এফসি। প্রত্যেকে একে অপরের বিরুদ্ধে একবার করে খেলে। গ্রুপ শীর্ষে থাকা ইস্টবেঙ্গল পৌঁছে যায় মূলপর্বে।  বিদেশের মাটিতে মশাল জ্বালিয়ে রাখার কাজ করছে ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দল। ইস্টবেঙ্গলের পুরুষ ফুটবল দল ইদানীংকালে ব্যর্থ। সম্প্রতি ডুরান্ড কাপের সেমাফাইনাল থেকেও ছিটকে গিয়েছেন মিগুয়েল-রশিদরা। যদিও গোটা মরশুম এখনও বাকি। লাল-হলুদের মহিলা ফুটবল দল কিন্তু বিদেশের মাঠে নিজেদের উজাড় করে দিল।

আরও পড়ুন: 'বাবর-রিজওয়ান অনেক সুযোগ পেয়েছে...এবার নতুনদের', পাক ক্রিকেট নিয়ে বড় মন্তব্য আক্রমের

অতীতে ইস্টবেঙ্গলের পুরুষ দল দল বিদেশি ক্লাবের বিরুদ্ধে স্মরণীয় সব মুহূর্তের জন্ম দিয়েছে। সেই একই পরম্পরা চলছে। পুরুষদের মতো মহিলা ব্রিগেডও বিদেশি ক্লাবের বিরুদ্ধে দাপট দেখাচ্ছে এই ২০২৫-এ। প্রেরণার আরেক নাম যে ইস্টবেঙ্গল।  

ইন্ডিয়ান উওমেন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে মহিলাদের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলার ছাড়পত্র পায় ইস্টবেঙ্গলের প্রমীলা-বাহিনী। তারই সদ্ব্যবহার করলেন লাল-হলুদের সোনার মেয়েরা।

ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ব্রিগেডের এই সাফল্য সমর্থকদের খুশি করেছে। সাম্প্রতিক কালে পুরুষ দলের সাফল্য নেই। ডার্বিতে হার এবং আইএসএলে হতশ্রী পারফরম্যান্স সমর্থকদের হতাশা বাড়াচ্ছিল। নতুন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল খুশির আবহ তৈরি করে দিল। যদিও এবার পুরুষ দলের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। ভাল কিছুর স্বপ্ন দেখছেন সমর্থকরা। তবে বছরের শুরুটা ভাল করেনি অস্কার ব্রুজোঁর দল। মহিলা দল কিন্তু শুরু থেকেই মশাল নিয়ে দৌড় শুরু করে দিয়েছে। 

আইডব্লুএল জয়ী দলের ১৪ জনকে ধরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উগান্ডার জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড ফাজিলা ইকওয়াপুট, সেদেশের মিডফিল্ডার আমনা নবাবিকে সই করানো হয়েছে। রক্ষণ শক্তিশালী করতে নাইজেরিয়ার মরিন ওকপালা ও ঘানার আবেনা ওপোকুকেও নেওয়া হয়েছে। নতুন জাতীয় ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম মুখ শিলকি দেবী। এই প্রতিযোগিতার জন্য ২ মাস কল্যাণীতে আবাসিক শিবির করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তার ফল পেয়েছে লাল-হলুদ শিবির। 

আরও পড়ুন: রোহিত, বিরাট, ধোনির থেকে অধিনায়ক হিসেবে বহু এগিয়ে সূর্য, পরিসংখ্যান সেরকমই বলছে