আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। ডার্বিতে লাল-হলুদ মাঝমাঠের তিনিই হবেন ব্যান্ডমাস্টার। কিন্তু যা চাওয়া হয়, তা পাওয়া যায় না। ইংরেজিতে প্রবচন রয়েছে, ''ম্যান প্রপোজেজ, গড ডিসপোজেজ।'' 

রবিসন্ধ্যার ডার্বিতে নামা হবে না রশিদের। শুক্রবার তাঁর বাবা প্রয়াত হন। রশিদ ফিরে গিয়েছেন দেশে। দুঃসময়ে পরিবারের পাশে থাকবেন লাল-হলুদ ফুটবলার।  

শনিবার ডার্বির আগে সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ তাঁর মাঝমাঠের প্রাণভোমরা সম্পর্কে বলেন, ''খুবই কঠিন সময়। পরিবারের সঙ্গে থাকতে চেয়েছে। ওর সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানিয়েছি।'' 

আরও পড়ুন: জীবনের প্রথম ডার্বি ছিল 'অভিশাপ', হারিয়েই গেলেন ইস্টবেঙ্গলের 'অমূল্য' ফুটবলার, কেউ কি মনে রেখেছেন তাঁকে?...
লাল-হলুদের মাঝমাঠের ফুটবলার শৌভিক চক্রবর্তী আবার বলেছেন, ''ম্যাচটা জিতে রশিদকেই উৎসর্গ করতে চাই।'' 

এই অল্প কয়েকদিনে রশিদ মন জিতে নিয়েছেন সমর্থকদের। তাঁর খেলায় মজেছেন প্রাক্তনরাও। বিকাশ পাঁজির মতো প্রাক্তন ফুটবলার বলেছেন, ''জার্সি নম্বর ৭৪-এর খেলা আমার মনে ধরেছে।'' 

রশিদের বাবার নাম 'বাসিম'। নিজের সন্তান হলে তার নামও বাবার নামের আদলেই 'বাসিম' রাখতে চান প্যালেস্তাইনের মাঝমাঠের খেলোয়াড়। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গেল। রশিদ আগেই স্থির করে রেখেছেন, তাঁর সন্তান ছেলে হলে বাবার আদলে নাম রাখবেন 'বাসিম'। 

জাতীয় দলের হয়ে তিনি ৩ নম্বর জার্সি পরেন। লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবে তাঁর জার্সির নম্বর ৭৪। কিন্তু কেন? সূত্র অনুযায়ী, রশিদের বাবার জন্ম-মাস ৭। অর্থাৎ জুলাই। আর মায়ের জন্ম-মাস ৪। অর্থাৎ এপ্রিল।

লাল-হলুদে রশিদের ৭৪ নম্বর জার্সিতে রয়েছেন তাঁর বাবা-মায়ের ছোঁয়া। ৭ থেকে ৪ বিয়োগ করলে হয় তিন। রশিদের জন্মদিন আবার ৩ জুলাই। সেই কারণে প্যালেস্তাইন জাতীয় দলে রশিদ ৩ নম্বর জার্সি পরে খেলেন। বাবা-মা-কে শ্রদ্ধা জানিয়ে রশিদ ৭৪ নম্বর জার্সি নিয়েছেন লাল-হলুদে। রশিদকে ছেড়ে বাবা চলে গেলেন দূরের কোনও গ্রহে। 

প্যালেস্তাইনের রাস্তায় ফুটবল খেলে বড় হয়ে ওঠা। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত রশিদ ছিলেন সেখানে। রাস্তায় ফুটবল খেলেই কেটেছে শৈশব। এখন রশিদ নতুন দেশে। বিভিন্ন দেশের ক্লাবের হয়ে খেলে সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর কেরিয়ার।

প্রথমে তিনি ছিলেন স্ট্রাইকার। পরে সেন্টার ব্যাক পজিশনে খেলেন। সৌদি আরবে আবার তাঁর পজিশন বদলায়। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে অভ্যস্থ হয়ে উঠেছিলেন। পরে আবার তাঁকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলানো হয়। 

চলতি মরশুমে মাঠে নামা ইস্তক রশিদ হয়ে গিয়েছিলেন সমর্থকদের প্রাণভোমরা। তাঁর বাবার প্রয়াণ সংবাদে তাই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও শোকসন্তপ্ত। রশিদের জন্য ডার্বি জিততে চায় ইস্টবেঙ্গল। 

আরও পড়ুন: পাকিস্তান ক্রিকেট ঘোর সমস্যায়, কোপ পড়তে পারে দুই তারকার ওপর