আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইএসএলে হাফ ডজন হার আপাতত অতীত। ইস্টবেঙ্গলের ফোকাস এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ টুতে। শনিবার ভুটানে অভিযান শুরু লাল হলুদের। গ্রুপ এ'র ম্যাচে পারো এফসির মুখোমুখি কলকাতার প্রধান। তার আগে ভুটানের থিম্পুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ বিনো জর্জ। কিন্তু কেন সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন না হেড কোচ অস্কার ব্রুজো? জানা গিয়েছে, টেকনিক্যাল গেরোর জন্যই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে পারেননি স্প্যানিশ কোচ। তবে শনিবার ডাগআউটে বসতে কোনও সমস্যা নেই। আসলে অস্কার ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার আগেই কোচ এবং প্লেয়ারদের তালিকা এএফসিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কার্লেস কুয়াদ্রাত পদত্যাগ করায়, কোচ হিসেবে নাম পাঠানো হয়েছিল বিনো জর্জের। এবার সেটা পরিবর্তন করে হেড কোচের জায়গায় অস্কারের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ফেডারেশনের একটা ছাড়পত্র লাগবে। সেটা হাতে না পাওয়ায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অস্কারের ডেপুটি। তবে শনিবারের ম্যাচের আগে সেটা হাতে চলে আসবে। অর্থাৎ, ডাগআউটে বসতে কোনও সমস্যা হবে না অস্কারের। পারোর বিরুদ্ধে কোচের হটসিটে থাকবেন তিনিই। 

টানা আট ম্যাচ হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের ব্যর্থতা ভুলে জয়ে ফেরাই লক্ষ্য। তবে পথ খুব মসৃণ হবে না। আর্টিফিশিয়াল টার্ফে ম্যাচ। তারওপর ভুটানের উচ্চতা। দম বেশি লাগবে। এমনিতেই ফিটনেস সমস্যা রয়েছে শিবিরে। সবমিলিয়ে যথেষ্ট কঠিন চ্যালেঞ্জ। এইধরনের মাঠ এবং পরিবেশে খেলার অভিজ্ঞতা নেই লাল হলুদ ফুটবলারদের। চ্যালেঞ্জের কথা মেনে নিলেও, প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আশাবাদী ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ। বিনো জর্জ বলেন, 'আমাদের প্রস্তুতি ভালই হয়েছে। এখানে আসতে পেরে খুশি। তবে আমরা কোনওদিন আর্টিফিশিয়াল টার্ফে খেলিনি। তারওপর ভুটানের উচ্চতায় খেলতে হবে। আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের প্লেয়ারদের ওপর আস্থা আছে। এবার দল শক্তিশালী হয়েছে। আশা করছি দল ভাল খেলবে।' চোট সারিয়ে দলে ফিরবেন নাওরেম মহেশ। প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। আইএসএলের ব্যর্থতা ভুলে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেরাটা উজাড় করে দিতে চান। নাওরেম মহেশ বলেন, 'এএফসিতে খেলা স্বপ্ন ছিল। আমরা নতুন কোচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আর্টিফিশিয়াল টার্ফে এবং এই উচ্চতায় কোনওদিন খেলেনি। তবে আমার অভ্যাস আছে। আমি যে অ্যাকাডেমিতে ছিলাম, সেখানে পরিস্থিতি অনেকটা একইরকম ছিল। তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আমাদের গ্রুপের সব দলই ভাল। প্রতিযোগিতা কঠিন হবে।' প্রতিযোগিতা বদলে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য বদলায় কিনা সেটাই দেখার।‌