আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ গতবারের লিগের ফয়সালা এখনও হয়নি। ইস্টবেঙ্গল না ডায়মন্ড হারবার এফসি। কে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন তা চলে গেছে আদালতে। কিন্তু এবারও প্রিমিয়ার লিগ রাজার মতোই শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে মেসারার্সকে উড়িয়ে দিল ৭–১ গোলে।


আপ ও ডাউনে ট্রেনগুলি এদিন নৈহাটি স্টেশনে এসে থামছিল। আর লাল হলুদ জার্সি গায়ে সমর্থকরা হাঁটা লাগাচ্ছিলেন স্টেডিয়ামের দিকে। বড়জোর ১০ মিনিটের পথ। সমর্থকদের মধ্যে হাজির তরুণীরাও। অখুশি করেননি লাল হলুদ ফুটবলাররা।


রথের দিন বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করা শুরু করেন মনোতোষ মাজি। ২৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি জেতা এই স্ট্রাইকার। ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়ান সায়ন ব্যানার্জি। ৩৭ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন গুইতে। মেসারার্স ক্লাবের কাছেও গোলের সুযোগ এসেছিল। তাদের একটি ফ্রি কিক বারে লেগে ফিরে আসে। একইভাবে ইস্টবেঙ্গলের একটি শটও বারে লাগে। প্রথমার্ধেই ৩–০ গোলে এগিয়ে যায় লাল হলুদ বাহিনী।


দ্বিতীয়ার্ধে বরং দাপট আরও বাড়ায় বিনো জর্জের দল। অধিকাংশ সময়ই মেসারার্স ক্লাবের বক্সে বল ঘোরাফেরা করে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন তন্ময় দাস। লাল–হলুদের মাঝমাঠও নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ৬৩ মিনিট ও ৬৫ মিনিটে আরও দু’গোল করে যান বদলি হিসেবে নামা জেসিন টিকে। ৬৯ মিনিটে খেলার গতির বিপক্ষে গিয়েই ব্যবধান কমান মেসারার্স ক্লাবের অ্যান্ডি জাখারি। শেষ দশ মিনিটে কার্যত ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগের সঙ্গে একাই লড়ে যান মেসারার্সের গোলকিপার লাইমুজাম কেন সিং। মহম্মদ রোশান–জেসিন টিকেদের একাধিক শট তিনি বাঁচিয়ে দেন। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে দূরপাল্লার শটে ৭–১ করেন সুমন দে।


শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের একটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়েছিল। মেসারার্সের সুরচন্দ্র সিংহের ফ্রিকিক বারে লাগে। তারপরই খেলা শুরু লাল হলুদের। 


পুনশ্চ:‌ লিগ শুরু হলেও আইএফএ আছে সেই আদ্দিকালেই। অ্যাপে নাকি দেখা যাবে খেলা। কিন্তু সে অ্যাপ খোলেই না। ফুটবলারদের তালিকা চাইলে সাংবাদিকরা পান না। তার উপর নৈহাটি স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে প্রেসের থেকে অন্য জগতের মানুষের সংখ্যা বেশি। শৌচালয়?‌ সেটাও নাকি কমন!‌ হায় রে বাংলার ফুটবল!‌ 

ছবি:‌ অভিষেক চক্রবর্তী