আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রজোঁর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে গোয়া থেকে কলকাতা ফিরে এসেছেন সন্দীপ নন্দী। উত্তপ্ত ময়দান। আলোড়ন ইস্টবেঙ্গলে। এবার ইমামি কর্তা আদিত্য আগরওয়াল তোপ দাগলেন সন্দীপকে। বললেন, ''সন্দীপের যদি এতদিন সমস্যা থেকেই থাকবে, তবে ও আগে বলেনি কেন?'' সন্দীপ-অধ্যায় ইস্টবেঙ্গল দলের উপরে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন আদিত্য। তিনি বলেছেন, ''আমাদের ফুটবলাররা মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী, সন্দীপের এই বিতর্কিত ঘটনার প্রভাব দলের উপর পড়বে বলে মনে হয় না আমার।''
ইস্টবেঙ্গলের কথা স্মরণ করে বহুযুদ্ধের সৈনিক সন্দীপ আপাতত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বৃহত্তর এক সংগ্রামের জন্য তিনি মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আইএফএ, এফপিএ, ক্রীড়ামন্ত্রী, ইমামির কাছে চিঠি দিয়ে তিনি সব জানাবেন বলে স্থির করেছেন।
ইস্টবেঙ্গল সন্দীপের প্রাক্তন ক্লাব। এই ক্লাবের ভাল চেয়ে আপাতত তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। সুপার কাপের পরে তিনি আরও বড় পদক্ষেপ করবেন বলে স্থির করেছেন। প্রাক্তন গোলকিপার বলছেন, ''সামনেই সুপার কাপ। ক্লাবের জন্য আমার শুভেচ্ছা রয়েছে। সফল হয়ে ফিরুক দল এই প্রার্থনাই করি। আমি ক্লাবের স্বার্থে এখন আর পুরনো অধ্যায় নিয়ে কথা বলতে চাই না। সুপার কাপ হয়ে যাওয়ার পরে যা বলার বলব।''
ক্লাবের সভ্য-সমর্থকরা যেভাবে তাঁকে সমাজমাধ্যমে ট্রোল করে চলেছেন, তাতে দেশের প্রাক্তন গোলকিপারের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত। হতাশ সন্দীপ বলছেন, ''ফুটবল থেকে এবার সন্ন্যাস নেব ভাবছি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য আমি নিজেকে নিংড়ে দিয়েছি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আমার রক্তে। আমাকে ক্লাবের সভ্য-সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে চেনেন। অথচ তাঁরাই আমার কথা বিশ্বাস না করে ভিনদেশি এক মানুষের কথাকেই ধ্রুবসত্য ধরে নিয়ে আমাকে ট্রোলিং করছেন। আমি সত্যিই বিস্মিত। বলার ভাষা আমার নেই। এসব দেখেশুনে আমি খুবই হতাশ। সত্যিটা জানুক মানুষ। তাঁরাই বিচার করুক আমার দোষটা কোথায়? দিনের পর দিন আমাকে সন্দেহ করা হয়েছে, আমাকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। ভীতিপ্রদ এক পরিবেশ তৈরি করে রাখা হত। বারংবার আমার নিজের দোষ স্বীকার করার পরেও আমাকে সবার সামনে অসম্মান করা হল। এটা আমার প্রাপ্য ছিল না।''
