আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিতে পারে বিসিসিআই। প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম আরসিবির ঘরের মাঠ। ওই মাঠে আরসিবি বনাম চেন্নাই ম্যাচের দিন গ্যালারিতে ছড়িয়ে পড়েছিল তীব্র উত্তেজনা।


তাও আবার যেখানে সেখানে নয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল ডায়মন্ড বক্সে। এই অভিজাত বক্সে আসন নিয়ে রীতিমতো ঝামেলা তৈরি হয়েছিল দুই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। জানা যায়, ডায়মন্ড বক্সে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল এক আইপিএস পরিবারের সঙ্গে এক আয়কর কমিশনারের পরিবারের। খেলা শেষের পরেও যা থামেনি। দুই পরিবারই অভিযোগ দায়ের করে কার্বন পার্ক থানায়।


এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইপিএস অফিসারের পরিবার ভয় দেখানো, যৌন হেনস্তার মতো মারাত্মক অভিযোগ এনেছে আয়কর কমিশনারের পরিবারের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আয়কর কমিশনারের পরিবার।


সবচেয়ে বড় কথা, ডায়মন্ড বক্সে যখন এই ঝামেলা চলছিল, তখন সেখানে উপস্থিত আরও অনেক উচ্চপদস্থ কর্তার পরিবার চুপচাপ বিষয়টি দেখে। কেউ ঝামেলা মেটাতে এগিয়ে আসেনি। ওই বক্সে উপস্থিত এক পুলিশ কর্তা বলেছেন, ‘‌খেলা দেখতে দেখতে আইপিএস অফিসারের মেয়ে ভাইকে নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিল। পার্স রেখে গিয়েছিল আসনের উপর। কিছুক্ষণ পর তারা ফিরে এসে দেখে ওই আসনে অন্য কেউ বসে রয়েছেন। এই নিয়েই শুরু ঝগড়া।’‌


এরপরই ওই যুবক আসনটি ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি রাজি না হওয়ায় শুরু হয় ঝগড়া। তখন ওই যুবকের বোনও তর্ক জুড়ে দেয়। আচমকাই এই ঝগড়ায় যোগ দেয় আয়কর কর্তা, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে আইপিএস অফিসারের মেয়ে ফোন করেন বাবাকে। এরপরই ওই বক্স থেকে চলে যান আইপিএস অফিসারের ছেলে ও মেয়ে। অভিযোগ জানান থানায়। এরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রীকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। 


ডায়মন্ড বক্সে এরকম ঘটনায় বেশ বিরক্ত বিসিসিআই। কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বিসিসিআই। চিন্নাস্বামীকে নিষিদ্ধ না করে দেওয়া হয়!‌