আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ডুরান্ড কাপ ফাইনালের কথা ভেবে সই করানো হল জয় গুপ্তকে। সূত্রের খবর এমনটাই। ডুরান্ড কাপের ডার্বির আগে লাল হলুদ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন এই ফুটবলার। কিন্তু চুক্তির নথিপত্র সংক্রান্ত খুঁটিনাটির কারণে সরকারিভাবে সই করা তখনও বাকি ছিল জয়ের। যদিও ডুরান্ড সেমিফাইনালের দিন অর্থাৎ বুধবার সমস্ত উদ্বেগ কাটিয়ে সরকারিভাবে সই করে ফেললেন এই ডিফেন্ডার, এমনটাই সূত্রের খবর। ইস্টবেঙ্গল যদি ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে ডায়মন্ড হারবারকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে, তাহলে তাঁকে খেলানো হতেও পারে।


আপাতত তাঁর স্বাক্ষর অনুমোদনের জন্য ফেডারেশনের কাছে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেখান থেকে ফিরলে তাঁকে কম্পিটিশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিএমএস) যুক্ত করা হবে। কারণ ডুরান্ড ফাইনাল শনিবার যুবভারতীতে। ফাইনালের ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করানো যায়। অন্যদিকে, এই মুহূর্তে যে দু’জন সাইড ব্যাক ইস্টবেঙ্গলে খেলছেন, তারা হলেন মহম্মদ রাকিপ এবং লালচুংনুঙ্গা। তাঁরা ইতিমধ্যেই একটা করে হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন। কোনওভাবে যদি ডুরান্ড সেমিফাইনালে হলুদ কার্ড দেখেন, আর ইস্টবেঙ্গল যদি জেতে, তাহলে ফাইনালে নামতে পারবেন না। তাই জয় গুপ্তর সই সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর ছিল লাল হলুদ ম্যানেজমেন্ট।


প্রসঙ্গত, গত মরসুমে এফসি গোয়ার হয়ে খেলেছিলেন জয় গুপ্ত। গোয়ার ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, রেকর্ড চুক্তিতে লাল হলুদ জার্সি গায়ে চাপাতে চলেছেন জাতীয় দলে খেলা এই সাইড ব্যাক। তাদের তরফ থেকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছিল জয়কে। গোয়ার তরফ থেকে ঘোষণা করা না হলেও জানা গিয়েছে যে, এক কোটি টাকারও বেশিতে লাল হলুদে এসেছেন জয় গুপ্ত। 


ডার্বির আগেই দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। চলতি মরশুমে রাইট ব্যাক হিসেবে লাল হলুদে খেলছেন মহম্মদ রাকিপ। লেফট ব্যাক হিসাবে দেখা গিয়েছে প্রভাত লাকড়াকে। যদিও কখনও লালচুংনুঙ্গাকেও ওই পজিশনে খেলতে দেখা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার বা রাইট ব্যাক হিসাবে লালচুংনুঙ্গাকে খেলাতে পারেন লাল হলুদ কোচ। তাছাড়াও সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসাবেও খেলতে পারেন জয়। এখন দেখার ডুরান্ড ফাইনালে জয় গুপ্তকে খেলান কি না অস্কার ব্রুজো। 

এদিকে, বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে শহর কলকাতায় ফিরে এলেন ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফুটবলার মহম্মদ রশিদ। ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফুটবলারকে নিয়ে আবেগের বিস্ফোরণ লাল হলুদ জনতার মধ্যে। ইস্টবেঙ্গবলের জার্সি পরে মাঠে নামার পর থেকেই ভক্ত–সমর্থকদের মন জিতে নিয়েছেন প্যালেস্তাইনের ফুটবলার। তাঁকে নিয়ে বাধ ভাঙা আবেগ দেখা গিয়েছিল ডার্বি জয়ের অব্যবহিত পরেই। 

ডার্বির ঠিক আগে পিতৃবিয়োগের খবর পেয়ে চলে গিয়েছিলেন রশিদ। ইস্ট–মোহন বড় ম্যাচের আগেরদিন সাংবাদিক বৈঠকে সৌভিক চক্রবর্তী, কোচ অস্কার ব্রুজোঁ বলেছিলেন, ম্যাচটা জিতে রশিদকে উৎসর্গ করতে চান। ডার্বি জয়ের পরে অভাবনীয় দৃশ্যর জন্ম দিয়েছিল যুবভারতী। প্যালেস্তাইন তারকার ৭৪ নম্বর জার্সি হাতে নিয়ে রশিদকে জয় উৎসর্গ করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। বুধবার সকালে রশিদ ফিরে এলেন শহরে। তাঁর মুখ থমথমে। বিকেলে দলের সঙ্গে তিনি মাঠেও যান। ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড় তালিকায় অস্কার ব্রজোঁ তাঁকে স্কোয়াডে রেখেছেন। রশিদ কলকাতায় পা রাখা ইস্তক শোনা যাচ্ছিল, তিনি নিজে এই ম্যাচে মাঠে নামতে চাইছেন। কিন্তু দীর্ঘ বিমানযাত্রার ধকল কাটিয়ে কি এমন আবেগের একটা ম্যাচে নামা সম্ভব? অভিজ্ঞ অস্কার হয়তো প্রয়োজনে তাঁকে ব্যবহার করবেন।