মোহনবাগান - ৪ (মনবীর, লিস্টন-২, সাহাল)

বিএসএফ - ০ 

আজকাল ওয়েবডেস্ক: লিস্টনের জোড়া গোল। মোহনবাগানের চার। সোমবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে বিএসএফকে ৪-০ গোলে হারাল মোহনবাগান। দুই গোল লিস্টনের। বাকি দুটো গোল সাহাল আব্দুল সামাদ এবং মনবীর সিংয়ে। গেমচেঞ্জার সাহাল। ডুরান্ড কাপে গ্রুপ বির দ্বিতীয় রাউন্ডের পর দুই গোলে এগিয়ে ডায়মন্ড হারবার। অর্থাৎ, সরাসরি নক আউট পর্বে যেতে ডায়মন্ড হারবরের বিরুদ্ধে জিততেই হবে মোহনবাগানকে। জিতলেই মিলবে শেষ আটের টিকিট। নয়তো অপেক্ষা করতে হবে। এদিন প্রথমার্ধের শেষে এক গোলে এগিয়ে ছিল হোসে মোলিনার দল। দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল। পরপর দুই ম্যাচে চার গোল লিস্টন‌ কোলাসোর। দারুণ ছন্দে গোয়ান মিডিও। তাঁর এবং সাহালের জুটিতে গ্রুপের একনম্বর দল হয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বাগানের। তবে ডায়মন্ড হারবার ম্যাচের আগে মোলিনা পেয়ে যাবেন আর এক তারকা ফুটবলারকে। এদিন মধ্যরাতেই শহরে পা রাখছেন জেসন কামিন্স। 

 মোহনবাগান-বিএসএফ ম্যাচের আগে শুধুমাত্র রেজাল্টের দিকে নজর ছিল না। গোল পার্থক্য নিয়ে হিসেব নিকেষ চলছিল। বিএসএফকে ৮-১ গোলে উড়িয়ে দেয় ডায়মন্ড হারবার এফসি। তার আগে মহমেডানের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জেতে। সেখানে প্রথম ম্যাচে সাদা কালো ব্রিগেডকে ৩-১ গোলে হারায় মোহনবাগান। অর্থাৎ, এক ম্যাচ বেশি খেলে দুই দলের মধ্যে গোল পার্থক্যে ছিল ছয়। সেটা কমে হল দুই। সরাসরি পরের রাউন্ডের ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে বিরাট বড় ব্যবধানে জেতা উচিত ছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। নয়তো সব গ্রুপ মিলিয়ে সেরা দ্বিতীয় দল হওয়ার অপেক্ষা। কলকাতার আরেক দল তাঁদের আট গোল দেওয়ায়, মোহনবাগানকে ঘিরেও প্রত্যাশা ছিল। তবে প্রথমার্ধের স্কোরলাইন দেখে সেটা মনে হয়নি। যদিও বিরতির পর ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। মাত্র ৯ মিনিটে তিন গোল। 

চলতি মরশুমে প্রথম ম্যাচে বেঞ্চে হোসে মোলিনা। প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও, সেরা প্রথম একাদশ নামান স্প্যানিশ কোচ। প্রথম ম্যাচের দলে চারটে পরিবর্তন হয়। নামেন টম অলড্রেড,‌ মনবীর সিং, লিওয়ান কাস্তানা এবং রোশন সিং। রক্ষণে আলড্রেড এবং কাস্তানার নতুন জুটি। প্রথমার্ধের শুরুতেই মোলিনার দলকে চমকে দেয় বিএসএফ। মিনিট দুয়েকের মাথায় সিটার মিস করেন কিশোরী। একটাই সুযোগ প্রতিপক্ষের। বাকি সময়টা মোহনবাগানের। যদিও গোল ব্যবধানে বাড়েনি। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল পেতে পারত সবুজ মেরুন। কিন্তু লিস্টনের পাস থেকে সহজ সুযোগ মিস অনিরুদ্ধ থাপার। ম্যাচের ২৪ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন মনবীর। রোশনের ক্রস থেকে হেডে গোল। বিরতির আগে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। জোড়া সুযোগ মিস লিস্টনের। প্রথমার্ধে অন্তিমলগ্নে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল বিএসএফের।‌ কিন্তু মিস করেন কিশোরী। 

বিরতির পর একইসঙ্গে তিনটে পরিবর্তন করেন মোলিনা। নামান সাহাল, কিয়ান, অ্যালবার্তোকে। তাতেই দ্বিতীয়ার্ধে বাড়ে গোল সংখ্যা। ম্যাচের রং বদলে দেন সাহাল। একটি গোল করলেন, দুটো করালেন। তবে সমান কৃতিত্ব লিস্টনের। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে দুরন্ত গোল গোয়ান তারকার। বিপক্ষের চক্রবূহের ভেদ করে গোল। প্রথমে সাহালকে বল বাড়ান। তারপর তাঁর পাস থেকে ঘাড়ের ওপর একাধিক ডিফেন্ডারকে নিয়ে ২-১ করেন লিস্টন। তাঁর পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ে। ৫৮ মিনিটে সাহালের পাস থেকে গোল করেন লিস্টন। একসময় ডুরান্ডে মোহনবাগানের গাঁট ছিল বিএসএফ।‌ কিন্তু এদিন সেনার দলকে উড়িয়ে দেন। ম্যাচের ৬১ মিনিটে বাগানের চতুর্থ গোল। সাহালের শট গোললাইন থেকে ফেরত পাঠান ঈশান গুপ্ত। কিন্তু তার আগে বল ভেতরে ঢুকে যাওয়ায় গোল দেন রেফারি। ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। কিন্তু শেষ কোয়ার্টারে সাহালের‌ শট পোস্টে লাগে।