আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহমেডান স্পোর্টিং‌য়ের সমস্যা বেড়েই চলেছে। বেতন বাকি থাকায় দু'দিন ধরে প্র্যাকটিসে আসছে না ফুটবলাররা। সোমবার সদ্য সই করা সন্তোষ ট্রফি দলের পাঁচজন ফুটবলার ছাড়া কেউ হাজির ছিল না। মঙ্গলবারও একই দশা। রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠান থাকায় এদিন যুবভারতীর প্র্যাকটিস মাঠ পাওয়া যায়নি। জিম সেশন রাখা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচজন ছাড়া বাকিরা আসেনি। ছিলেন না বিদেশি ফুটবলাররাও।‌ দু'মাসের বেতন বাকি। সেটা না পাওয়া পর্যন্ত মাঠে নামতে চায় না ফুটবলাররা। কিন্তু সমস্যা বেশ জটিল। এত তাড়াতাড়ি মেটার নয়। আসল জটিলতা ক্লাবের শেয়ার হস্তান্তর করা নিয়ে। শ্রাচী গ্রুপ এবং বাঙ্কারহিলের সঙ্গে ক্লাবের বিবাদ চরমে। মঙ্গলবার সকালে শ্রাচী গ্রুপ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, শেয়ার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আর কোনও বিনিয়োগ করবে না। লিখিতভাবে এটা জানিয়ে দেওয়া হয়। জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ক্লাবের জন্য ১৬ কোটি খরচ করে ফেলেছে তাঁরা। 

মাস চারেক আগে মহমেডানের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হয় শ্রাচী গ্রুপের। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও চুক্তি অনুযায়ী শেয়ার হস্তান্তর করা হয়নি। সেই কারণেই দলের জন্য কোনও অর্থ খরচ করতে চাইছে না শ্রাচী গ্রুপ। এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে ৬১ শতাংশ শেয়ারের দাবিতে মহমেডানকে‌ আবেদন করে আরেক ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল। সেই চিঠিতে তাঁরা জানায়, ২০২০ সালে ক্লাবের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর প্রথম বছর আই লিগ টু-র জন্য ৬৪ লক্ষ খরচ করে তাঁরা। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে মহমেডানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর ২০২০-২১ মরশুমে ২.৫ কোটি দেয়। পরের চার মরশুমে আরও ১৬ কোটি দেওয়ার চুক্তি হয়। তার বদলে ক্লাবের ৫০ শতাংশ শেয়ার বাঙ্কারহিলকে দেওয়ার কথা হয়। 

২০২৩ সালের জুলাইয়ে আরও একটি নতুন চুক্তি হয় দুই পক্ষের মধ্যে। যেখানে ৫১ শতাংশ শেয়ার তাঁদের নামে করে দেওয়ার কথা হয়। চুক্তিতেই উল্লেখ ছিল, মহমেডান আইএসএলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলে, ৬১ শতাংশ শেয়ার দিতে হবে বাঙ্কারহিলকে। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী সেই শেয়ার ইনভেস্টরদের হস্তান্তর করা হয়নি। এদিন চিঠিতে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব শেয়ার তাঁদের নামে করে দেওয়া না হলে, ক্লাবের সঙ্গে গাঁটছড়া ভাঙতে বাধ্য হবে তাঁরা। ২৬ জানুয়ারি মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ মহমেডানের। ইনভেস্টর এবং ক্লাবের জটিলতায় চরম ডামাডোল চলছে। ফুটবলারদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন ক্লাব কর্তারা। মাঝে রয়েছে চার দিন। সমস্যা না মিটলে শেষপর্যন্ত আগামী রবিবার ম্যাচ খেলতে ফুটবলাররা নামবে কিনা সেটাই প্রশ্ন।