আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ লিগ শিল্ডের পর আইএসএল ট্রফি। গত মরশুমে আইএসএলে ডবল করার পর এবার এসিএল টু–তে ভাল ফল লক্ষ্য মোহনবাগানের। ১৬ সেপ্টেম্বর মোলিনার দলের এসিএল টু গ্রুপ পর্ব শুরু হবে তুর্কমেনিস্তানের আহাল এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। ভারতের এফসি গোয়াও এই লিগে খেলবে। সেখানে নামার আগে নিজেদের মধ্যে একটি ক্লোজড ডোর প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল দুই দল। যা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। 


কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রস্তুতি ম্যাচে মোহনবাগানের গোল সামলানোর দায়িত্ব ছিল বিশাল কাইথের কাঁধে। ডিফেন্সে ছিলেন মেহতাব সিং, টম অলড্রেড, অভিষেক সিং ও আশিস রাই। মাঝমাঠে আপুইয়া, দীপক টাংরি, লিস্টন কোলাসো ও কিয়ান নাসিরি। তার একটু উপরে অর্থাৎ ‘নম্বর টেন’ হিসেবে খেলেছেন সাহাল আব্দুল সামাদ। আর একমাত্র স্ট্রাইকার ছিলেন জেসন কামিংস।


৭০ মিনিটে সাহালের বদলে সুহেল, টাংরির বদলে অভিষেক সূর্যবংশী, আর ডিফেন্সে অভিষেকের বদলে আসেন শুভাশিস বোস। মোহনবাগান অধিনায়ক দীর্ঘদিন চোটের জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন। তাঁর প্রত্যাবর্তন মোলিনার দলকে নিঃসন্দেহে বাড়তি শক্তি জোগাবে। ৮০ মিনিটে দলে আবার বদল আনেন সবুজ–মেরুন কোচ। লিস্টনের পরিবর্তে নামেন রবসন, কামিংসের বদলে আসেন ম্যাকলারেন এবং সুহেলের বদলে নামেন দিমি পেত্রাতোস। অর্থাৎ আক্রমণভাগের সব বিদেশিকেই ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলান মোলিনা। তবে অবশ্যই চর্চায় ছিলেন রবসন। কেমন খেললেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার? কিছুদিন আগেই তিনি মোহনবাগানে যোগ দেন। ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন ছিল। এদিন তাঁকে অনেকটা পরে নামানো হয়। জানা যাচ্ছে, রবসন ম্যাচে একটি জোরালো শট নেন। তবে তাতে গোল হয়নি।


এটা ঘটনা, এসিএল টু’য়ের গ্রুপ পর্বে রাউন্ড রবিন লিগের মাধ্যমে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে প্রত্যেক ক্লাব। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই পর্ব। নকআউট পর্বের খেলা শুরু হবে ২০২৬ থেকে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু’য়ের গ্রুপ পর্বে মোহনবাগান খেলবে ইরানের সেপাহান এসসি, জর্ডনের আল হুসেইন ও তুর্কমেনিস্তানের আহাল এফসির বিরুদ্ধে। হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে প্রত্যেক দল। অন্যদিকে গ্রুপ ডি’তে রয়েছে এফসি গোয়া। ওই গ্রুপে রয়েছে রোনাল্ডোর আল নাসের, আল জাওরা এসসি এবং এফসি ইস্তিকলোল।

এদিকে, বিদেশি কোচরা যা করতে পারেননি এতদিন, খালিদ জামিল প্রথম সুযোগেই তাই করে দেখালেন। জিততে ভুলে যাওয়া, হারের ভুলভুলাইয়ায় পথ হারানো এক দলকে নিয়ে খালিদ জামিল বিদেশের মাটিতে তৃতীয় স্থান দখল করলেন। আটটি দেশের মধ্যে ভারত তৃতীয়। এ-ও তো গর্বেরই বিষয়। ইরান, ওমান, তাজিকিস্তানের মতো দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়লেন ছাংতে, গুরপ্রীতরা। অবশেষে সোমবার ভারতীয় ফুটবলের 'চক দে' বিদশের মাঠে। 

দিনকয়েক পরেই শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। গোটা দেশ বুঁদ হয়ে থাকবে তাতে। তার ঠিক আগে খালিদ জামিল ও তাঁর ছেলেরা কিন্তু অসাধ্য সাধান করে এলেন। হয়তো শুভমান গিলদেরও প্রেরণা জুগিয়ে গেলেন। এই টুর্নামেন্টের শুরুরতে কে ভাবতে পেরেছিলেন, শক্তিশালী দলগুলোর বিরুদ্ধে লড়ে তৃতীয় স্থান দখল করবে ভারত! খেলোয়াড় ছাড়া নিয়ে দড়ি টানাটানি ছিল। ছিল খালিদকে নিয়ে প্রশ্নও। কেউ কি ভেবেছিলেন তারকাহীন একটা দলের ভিতরে খালিদ তাঁর মতোই জেদ, লড়াকু মানসিকতা ঢুকিয়ে দিতে পারবেন? ফিফার ক্রম তালিকায় ১৩৩ নম্বরে থাকা এক দেশ হারিয়ে দিল ৭৯ নম্বরের এক দেশকে। এমন কথাও কি কেউ চিন্তা করতে পেরেছিলেন?