আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনবদ্য বিশাল কাইথ। দুর্ভেদ্য প্রহরী হয়ে সবুজ মেরুনকে তুললেন ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে। এদিন শুট আউটে মোহনবাগানের হয়ে দুটি শট বাঁচিয়েছেন কাইথ। দুটি শটই ছিল ডু অর ডাই শট। হার জিতের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন তিনি। খেলার ফলাফল ৩-৩ হওয়ায় এদিন ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

 

পেনাল্টিতে জেসন কামিংসের শট বারে লাগে। পাঞ্জাবের শেষ শট বাঁচিয়ে ম্যাচ সাডেন ডেথে নিয়ে যান কাইথ। সেখানেও দুরন্ত সেভ। শেষ শটে আলড্রেড গোল করায় ম্যাচ জিতে নেয় মোহনবাগান। এদিন জামশেদপুরে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে সামনে সুহেল ভাটকে রেখে আক্রমণ সাজিয়েছিলেন কোচ মলিনা। মাঝমাঠে ছিলেন সাহাল, স্টুয়ার্ট। আগের দিনের মত পাসিং ফুটবল চোখে পড়লেও খুব তাড়াতাড়ি ডিফেন্স ওপেন হয়ে যাচ্ছিল এদিন বাগানের। ফাইনাল ট্যাকলে যেতে গিয়ে ১৭ মিনিটে ফাউল হয় বাগান বক্সের ভেতর।

 

পাঞ্জাব পেনাল্টি পেলে সেখান থেকে গোল করে যান লুকা মাজেন। পিছিয়ে পড়লেও আক্রমণের ঝাঁঝ কমেনি। ৪৪ মিনিটে গোল শোধ করেন সুহেল ভাট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মনবীর সিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। তবে সমতা ফেরাতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি পাঞ্জাবের। ৬৩ মিনিটে গোল শোধ করেন ফিলিপ। তারপরেই ৭১ মিনিটে ভিদালের গোলে ফের এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। সমতা ফেরাতে পুরোপুরি আক্রমণে যান মলিনা। দিমিত্রি, কামিংস সহ স্টুয়ার্টও উঠে আসেন আক্রমণে। ৭৯ মিনিটেই কামিংস জোরালো শটে ৩-৩ করেন।

 

৭ মিনিট ইনজুরি টাইম পেলেও কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। খেলা পেনাল্টিতে গেলে প্রথম শট বারে লাগে জেসন কামিংসের। ম্যাচে থাকতে গেলে একটি শট বাঁচাতেই হত বিশাল কাইথকে। রক্ষাকর্তা হিসেবে পাঞ্জাবের শেষ শট আটকে দেন তিনি। খেলা সাডেন ডেথে গেলে প্রথম শটে দুই দলই গোল করে। দ্বিতীয় শটে ফের দুরন্ত সেভ বিশালের। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন আলড্রেড। সেমিফাইনালে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি।