মোহনবাগান-২ রেলওয়ে এফসি-০ 
(সন্দীপ, শিবম)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগের ম্যাচে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল মোহনবাগান। সোমবার কলকাতা লিগে সবুজ-মেরুন শিবির ২-০ গোলে হারাল রেলওয়ে এফসি-কে। ম্যাচের গোলদাতা অধিনায়ক সন্দীপ মালিক ও শিবম মুণ্ডা। ম্যাচে সুযোগ তৈরি হল একাধিক, রেফারির হাত থেকে বর্ষিত হল একাধিক লাল ও হলুদ কার্ড।

ব্যারাকপুরের বর্ষাস্নাত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। দুই অর্ধে দুটো গোল হয়। প্রথম গোলটি সন্দীপ মালিকের। এক্ষেত্রে রেলওয়ে এফসি-র গোলকিপার সুদীপ্তর দোষ ছিল ষোলো আনা। বৃষ্টির ভেজা মাঠে বলের গতিপথ বুঝতে না পেরে তিনি বেরিয়ে এসেছিলেন গোল ছেড়ে। সালাউদ্দিন ছোঁ মেরে বল নিয়ে যান। উইংয়ের কাছ থেকে তিনি বল ভাসান। ভাসানো বল থেকে গোল করেন মোহনবাগান ক্যাপ্টেন সন্দীপ।  

বৃষ্টির জন্য মাঠ হয়ে গিয়েছিল পিচ্ছিল।  এই ধরনের ভারী মাঠে চোটআঘাতের সমস্যা বেড়ে যায়। চোট পেলেন রেলওয়ের তারক হেমব্রম। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। দু' দলের খেলোয়াড়রা শারীরিক ফুটবলের দিকে ঝুঁকে পড়েন। দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দু'দলের ফুটবলাররা। মাঠের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রিজার্ভ বেঞ্চেও। রেফারি লাল কার্ড দেখান মোহনবাগানের সালাউদ্দিনকে। হলুদ কার্ড দেখেন সবুজ-মেরুনের সাহিল। রেলওয়ে এফসির গোলকিপার এবং অধিনায়ক সুদীপ্ত তেড়ে যান বাগান খেলোয়াড়দের দিকে। তাঁকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি। লাল কার্ড দেখেন রেলওয়ের সৌমিক কোলে। মোহনবাগানের টিম ম্যানেজার রাহুল দত্তকেও লাল কার্ড দেখানো হয়। খেলা বন্ধ থাকে দীর্ঘক্ষণ।

মোহনবাগান নেমে যায় দশ জনে। রেলওয়ে সেখানে বাকি সময়টা খেলে ৯ জনে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে মোহনবাগান। পরিবর্ত হিসেবে নামা সবুজ-মেরুনের শিবম মুন্ডা সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। কিন্তু সেই তিনিই আবার ২-০ করেন সবুজ-মেরুনের হয়ে।  লিগে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলল মোহনবাগান। তার মধ্যে সবুজ-মেরুনের জয় দুটিতে।