আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডুরান্ড কাপে অংশ নিচ্ছে মোহনবাগান। শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবকে রেখেই টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু সবুজ মেরুনের ডুরান্ড খেলা নিশ্চিত ছিল না। অবশেষে মোহনবাগানের দেওয়া চার শর্ত মেনে নিল ডুরান্ড কমিটি। যার ফলে ঐতিহাসিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের বিষয়ে সম্মতি পত্রে সই মোহনবাগানের। পাশাপাশি ক্লাবের দাবি মেনে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে মাঠ। শনিবার থেকেই যুবভারতীতে ফিরছে মোহনবাগানের অনুশীলন। গত দশদিন রাজারহাটে ফেডারেশনের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে অনুশীলন করছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু শনিবার থেকে আবার যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে ফিরছে বাগানের অনুশীলন। শর্ত অনুযায়ী, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে একই গ্রুপে থাকতে চায়নি মোহনবাগান। সেমিফাইনালের আগে ডার্বিতে মুখোমুখি হতে চায়নি। প্র্যাকটিসের জন্য যুবভারতীর মাঠ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। সব শর্তই মেনে নিয়েছে ডুরান্ড কমিটি। যার ফলে মোহনবাগানের খেলায় আর কোনও বাধা রইল না। 

আরও একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে। সুনীল ছেত্রীর পর এখনও ভাল মানের ভারতীয় স্ট্রাইকার উঠে আসেনি। সেদিকে নজর দিতে চাইছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক অভিনব প্রস্তাব দিল মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপ বিদেশিহীন করার জন্য লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। এই মর্মে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সিইও বিনয় চোপড়া সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছেন। কলকাতা লিগ বিদেশিহীন। ভূমিপুত্রের সংখ্যা বেড়েছে। এবার ডুরান্ড কাপও কোনও বিদেশি ছাড়া করার প্রস্তাব দিল মোহনবাগান। ভারতীয় প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে কলকাতার প্রধান। ডুরান্ডে জেসন কামিন্স সহ আরও একজন-দু'জন বিদেশিকে খেলানোর মতো জায়গায় রয়েছে মোহনবাগান। তাসত্ত্বেও দেশীয় স্ট্রাইকার তুলে আনার দিকে নজর দিতে চাইছে ম্যানেজমেন্ট। 

প্রসঙ্গত, ডুরান্ড কাপ শুরু হওয়ার ২২ দিন আগেই মাঠ অধিগ্রহণ করেছিল সেনাবাহিনী। জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে যুবভারতী সংলগ্ন দুটো প্র্যাকটিস মাঠের দখল নেয় ডুরান্ড কমিটি। যার ফলে প্র্যাকটিসের জন্য মাঠ পেতে হিমশিম খায় মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। কলকাতার দুই প্রধান কার্যত উদ্বাস্তু হয়ে যায়। প্রস্তুতির জন্য ইস্ট-মোহনকে খুঁজে নিতে হয় অন্য মাঠ। মোহনবাগান অনুশীলন করে নিউটাউন সেন্টার অফ এক্সেলেন্সের মাঠে। ইস্টবেঙ্গল প্র্যাকটিস করে হাওড়া স্টেডিয়ামে। তবে রাজারহাটে ফেডারেশনের অ্যাকাডেমির অ্যাস্ট্রোটার্ফের মাঠে প্র্যাকটিস করতে হয় মোহনবাগানকে। বর্তমানে সব জায়গায় ঘাসের মাঠে খেলা হয়। কলকাতা লিগও হচ্ছে ঘাসের মাঠে। সেখানে সবুজ মেরুনের জুনিয়র ব্রিগেডকে কৃত্রিম ঘাসের মাঠে প্র্যাকটিস করে ঘরোয়া লিগের ম্যাচগুলো খেলতে হচ্ছিল। যার ফলে ছিল চোট-আঘাতের আশঙ্কা। তাই ডুরান্ড কাপের তিন সপ্তাহ আগে মাঠ অধিগ্রহণ নিয়ে বিরক্ত ছিলেন দুই ক্লাবের কর্তারা। অবশেষে সেই সমস্যা মিটল। আবার যুবভারতীতে ফিরছে মোহনবাগান।

৩১ জুলাই মহমেডানের বিরুদ্ধে মিনি ডার্বি দিয়ে যাত্রা শুরু বাগানের। এবার আলাদা গ্রুপে কলকাতার দুই প্রধান। গ্রুপ এ-তে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বি-তে মোহনবাগান এবং মহমেডান।‌ সুতরাং নক আউট পর্বের আগে মুখোমুখি হওয়ায় সম্ভাবনা নেই ইস্ট-মোহনের। ২৩ জুলাই ডুরান্ড কাপ শুরু। ২৩ আগস্ট কলকাতায় ফাইনাল। ১৯ এবং ২০ আগস্ট দুটো সেমিফাইনাল। শিলং এবং কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে।