আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ সূর্যকুমার যাদবকে নকল করে গেলেন পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘা। নিজের ম্যাচ ফি উৎসর্গ করে গেলেন অপারেশন ‘‌সিঁদুরে’‌ ক্ষতিগ্রস্তদের।


এটা ঘটনা, ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এশিয়া কাপ থেকে পাওয়া সব ম্যাচ ফি ভারতীয় সেনাকে উৎসর্গ করেছেন। সেই পথ ধরেই আঘা নিজের ম্যাচ ফি উৎসর্গ করেছেন অপারেশন ‘‌সিঁদুরে’‌ ক্ষতিগ্রস্তদের। তিনি জানিয়েছেন, ‘‌পাক দল এশিয়া কাপ থেকে পাওয়া ম্যাচ ফি অপারেশন ‘‌সিঁদুরে’‌ ক্ষতিগ্রস্ত ‘সাধারণ নাগরিক এবং শিশু’দের উৎসর্গ করবে।’‌


প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপে তিন তিনবার দু’‌দলের সাক্ষাৎ হয়েছে। তিন বারই জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু একবারের জন্যও পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি সূর্যকুমার যাদবরা। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তান। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর আচমকাই পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আলি আঘা জানালেন, সূর্যকুমার যাদব নাকি তাঁর সঙ্গে দু’বার হাত মিলিয়েছিলেন!‌


পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘা রবিবার ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলেন, সূর্য তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে করমর্দন করেছিলেন। কিন্তু যখনই ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন, তখন আর হাত মেলাননি।


এক বার নয়, দু’বার ভারত অধিনায়ক তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন এই দাবি জানিয়ে সলমন বলেন, ‘প্রতিযোগিতার শুরুতে এক বার ও আমার সঙ্গে একান্তে করমর্দন করেছিল।’ দ্বিতীয় ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পরে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে বৈঠকের সময় আমাদের দেখা হয়েছিল। তখনও হাত মিলিয়েছিল।’
এরপরেই সলমন জুড়ে দেন, ‘‌কিন্তু যখনই ওরা ক্যামেরার সামনে চলে আসে, তখন আর আমাদের সঙ্গে হাত মেলায় না। আমি নিশ্চিত ওকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোই মেনে চলছে। যদি এটা ওর একার উপর নির্ভর করত, তা হলে নিশ্চয়ই আমার সঙ্গে করমর্দন করত।’


এদিকে, রবিবার ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সলমন প্রথমে ভারতের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে হাত মেলায়নি, মহসিন নকভির থেকে ট্রফি নেয়নি। ওরা আমাদের সঙ্গে যা করেছে, তাতে শুধু আমাদের অসম্মান করেনি, গোটা ক্রিকেটকে অসম্মান করেছে। এগুলো দেখে বাকি দলগুলো যদি এ সব করতে শুরু করে? কোথায় শেষ হবে এ সব? ক্রিকেটারদের তো রোল মডেল হওয়া উচিত। মাঠে এগুলো হতে দেখলে ছোট ছোট ছেলে–মেয়েরা কী শিখবে? এ বার যা হয়েছে, তা খুব খারাপ।’


ফাইনালের আগের সাংবাদিক বৈঠকেও ভারতীয় দলকে একহাত নিয়েছিলেন সলমন। বলেছিলেন, ‘‌আমি পেশাদার ক্রিকেট খেলছি ২০০৭ থেকে। কখনও দেখিনি যে ম্যাচের মধ্যে দুটো দল হাত মেলাচ্ছে না। আমার বাবাও ক্রিকেটের বড় ভক্ত। ক্রিকেটের অনেক গল্প ওঁর থেকে শুনেছি। উনিও কখনও বলেননি যে অতীতে এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে। দুটো দল ক্রিকেট ম্যাচ খেললেও হাত মেলায়নি, এমন কখনও শুনিনি। বরাবর শুনে এসেছি ক্রিকেট মাঠে ভদ্রতা বজায় রাখা হয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যখন এর থেকেও খারাপ সম্পর্ক ছিল, তখনও দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছে। তখনও হাত মিলিয়েছে দু’দলের ক্রিকেটাররা। আমার মতে, ক্রিকেটের জন্য হাত না মেলানোর ঘটনা ভাল উদাহরণ নয়।’‌