আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুখে শুধু হুমকি। বাস্তবে তা করে দেখাতে পারল না পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ড্রু পাইক্রফ্টকে না সরালে এশিয়া কাপ থেকে দল তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু আইসিসি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের এই দাবি মানা যাবে না। এরপর অনেকেই ভেবেছিলেন তাহলে পাকিস্তান হয়ত আরব আমিরশাহি ম্যাচ খেলবে না। কিন্তু দেখা গেল আদতে হুমকিই সার। এশিয়া কাপ খেলতে ওই দেশেই থেকে যাচ্ছে পাকিস্তান।

তবে পাকিস্তান যদি এশিয়া কাপ না খেলত তাহলে ১৪১ কোটির টাকা লোকসান হত তাদের। কেবল তর্জন-গর্জনই সার। ওসব করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিল পাকস্তান। কিন্তু দল তুলে নিলে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হত। তাই পাকিস্তান আর নাম তুলে নেওয়ার সাহস দেখায়নি

আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়া এশিয়া কাপ খেলতে ব্যস্ত, আর রোহিত কী করছেন জানেন?‌ ...

ক্রিকেট সংক্রান্ত এক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতা থেকে নাম সরিয়ে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা পাকিস্তানের নেই। তাই আইসিসির জবাবের আগেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিল, যে এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচ খেলবে। আমিরশাহিতেই থাকবে পাক দল। বুধবার আমিরশাহির বিরুদ্ধে গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তান। সেই ম্যাচের উপর নির্ভর করছে, ভারতের পর এই গ্রুপ থেকে দুই দলের মধ্যে কারা সুপার ফোরএ যাবে।

পাকিস্তানের অভিযোগ ছিল, ম্যাচ রেফারি আইসিসিআচরণবিধি এবং এমসিসির নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করা, তাঁদের অভিনন্দন বা শুভেচ্ছা জানানোর রীতি শুধুই ক্রিকেটীয় সৌজন্য। বাধ্যতামূলক নয়। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচ রেফারি হিসাবে পাইক্রফ্ট নিয়মবিরুদ্ধ কিছু করার পরামর্শ দেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি আইসিসি। পাক বোর্ডকে চিঠি দিয়ে আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, পাইক্রফ্ট ম্যাচ রেফারি থাকছেন। তাঁকে সরানো হচ্ছে না। 

আইসিসি যে পাকিস্তানের দাবি মানবে না, তা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। কারণ, পাকিস্তানের এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি ছিল না। ক্রিকেটে হ্যান্ডশেক নিয়ে কোনও আইন বা নিয়ম নেই। সৌজন্যের খাতিরে ক্রিকেটাররা তা করে থাকেন। কোনও পরিস্থিতিতে সেই সৌজন্য নাও দেখাতে পারেন তাঁরা। ভারত ঠিক সেটাই করেছে। তার জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছে আইসিসি। সেই কারণেই হয়তো আগে থেকেই পাকিস্তান সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিল, এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচে খেলবে তারা। 

আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর ভয়েই এশিয়া কাপ থেকে নাম তুলে নিল না পাকিস্তান। এমন জল্পনা শুরু হয়েছে। ভারতের সঙ্গে হ্যান্ডশেক বিতর্কের পর এশিয়া কাপ না খেলার কথা নাকি ভাবছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে সেই জেদ আপাতত ত্যাগ করেছে তারা। বা বলা যায়, জয় শাহর আইসিসি’র কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ‘বয়কটে’র রাস্তা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। 

আরও পড়ুন: 'হ্যান্ডশেক কাণ্ডে' সোশ্যাল মিডিয়ায় নিশানায়, মুখ খুললেন প্রাক্তন অজি তারকা...