আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের পারিবারিক জীবন প্রচারমাধ্যমের আলোয় চলে এসেছে। ২০ বছরের গাঁটছড়া ভেঙে বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চলেছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। যুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গেও সমস্যা চলছে ধনশ্রী বর্মার। তাঁরাও আলাদা হওয়ার পথে। সদ্য বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে মণীশ পাণ্ডের। এমন সময় চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন বিনোদ কাম্বলির স্ত্রী। আন্দ্রিয়া হিউয়িট জানান, ২০২৩ সালে ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কাম্বলির অসহায় অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত বদলান। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর স্বামীর মদে আসক্তির কথা উল্লেখ করেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। জানান, এই সমস্যার প্রভাব পড়ে তাঁদের সম্পর্কে। ২০০৬ সালে দু'জনের বিয়ে হয়। কিন্তু কাম্বলির বেহিসেবী জীবনযাত্রা তাঁদের সম্পর্ক তিক্ত করে। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। কিন্তু কাম্বলির শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতেন। শেষপর্যন্ত এই কারণেই নিজের সিদ্ধান্ত বদলান।
পডকাস্টে আন্দ্রিয়া বলেন, 'আমি ওকে ছেড়ে দিলে, অসহায় হয়ে যাবে। এখন ও একটা শিশুর মতো। সেটাই আমার খারাপ লাগত। আমি চিন্তায় থাকতাম। এই অবস্থায় আমি কোনও বন্ধুকেও ছাড়ব না, ও তো তার থেকে অনেক বেশি। তবে একাধিকবার আমি চলে গিয়েছি। কিন্তু আমি চিন্তা করতাম। ও খেয়েছে কিনা? ঠিক মতো শুয়েছে কিনা? ও ঠিক আছে কিনা? আমি ওর খবর নিতাম। বুঝতে পারতাম ওর আমাকে দরকার।' সম্প্রতি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাম্বলি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনও দুর্বলতা রয়েছে। সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না। সেদিনও দর্শক আসন থেকে মঞ্চ পর্যন্ত তাঁকে ধরে নিয়ে যেতে হয়। পা ছুঁয়ে সুনীল গাভাসকরকে প্রণাম করেন। অনুষ্ঠানে কাম্বলির সঙ্গে হাজির ছিলেন তাঁর স্ত্রী।
