নূরউদ্দিন, পাথরপ্রতিমা: সুন্দরবনের লবণাক্ত মাটিতে হবে কলা চাষ। হাজারেরও বেশি কৃষকদের দেওয়া হল জি-৯ টিস্যু কালচার কলা চারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের লবণাক্ত জমিতে চাষ হবে এই কলার। প্রায় এক হাজার কৃষককে দেওয়া হয়েছে এই বিশেষ প্রজাতির চারা। 

 

টেস্টটিউবে কলা চারার জন্ম! হ্যাঁ অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে টেস্টটিউবের মধ্যে পরীক্ষানিরীক্ষার ফলে উন্নত মানের এই কলা চারার জন্ম হয়েছে। টরেন্টো-ক্যালকাটা ফাউন্ডেশন-এর সহযোগিতায় পূর্ব দারিকাপুর মুনস্টার সঙ্ঘের ব্যবস্থাপনায় পাথরপ্রতিমা ব্লকের চারটি অঞ্চলের উদ্যোগী প্রায় হাজার কৃষককে ৪ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বার এই উন্নত মানের কলা চারা তুলে দেওয়া হয়। এই কলা চাষে কোনও রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সার দিয়ে চাষ করার কথা জানানো হয়েছে। মাত্র ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে এর ফলন ধরবে। কাদিতে প্রায় ১০০টির বেশি কলা ফলবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। 

 

এদিন স্থানীয় বাসিন্দা সত্যজিৎ অধিকারী বলেন, 'প্রত্যন্ত সুন্দরবনের যে এলাকাগুলি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে এই চারা গাছ। আমরা এই গাছ পেয়ে খুব খুশি। আধুনিক পদ্ধতিতে এই কলা চারা গাছগুলি রোপন করা হবে। ছয়মাসের মধ্যে ফলন দেখা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।'

 

এদিন পূর্ব দারিকাপুর মুনস্টার সঙ্ঘের সম্পাদক বিবেকানন্দ বাগ বলেন, 'প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই মানুষের খাদ্য শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটছে। সেই কারণে সুন্দরবন এলাকার বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি এবং প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার মানুষ এই কলাগাছ রোপন করে তাঁদের জীবিকা অর্জন করতে পারবেন।' এই কলা চারা হাতে পেয়ে খুশি সুন্দরবনের মানুষ।