মিল্টন সেন, হুগলি: ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে পুরনিগমের ডেপুটি মেয়রের। ভোটার তালিকায় নাম নেই তার স্ত্রীরও। অবাক কান্ড চন্দননগরে! 

তৃণমূল নেতার অভিযোগ মানুষকে ভয় দেখাতে বিজেপি চক্রান্ত করে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এসআইআর করছে। বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশান (এসআইআর) হওয়ার কথা। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যে তালিকা দেখে বিশেষ সংশোধন হবে।

আর সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে চন্দননগর পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অমিত (মুন্না) আগরওয়াল ও তাঁর স্ত্রী ববিতা আগরওয়ালের নাম নেই। ১৮২ চন্দননগর বিধানসভার ২ নং অংশে খলিসানী বৌবাজারে তাঁদের বুথ। অথচ মুন্নার মা ও ভাই-এর নাম আছে তালিকায়। 

আরও পড়ুন-  মুঝকো পিনা হ্যায় পিনে দো', দুর্গাপুরে বিজেপির কর্মীসভায় মিঠুনকে স্বাগত জানাতে বেজে উঠল এই গান

এই প্রসঙ্গে চন্দননগর পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অমিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, ২০০২ সালের আগে পরে যত নির্বাচন হয়েছে সব নির্বাচন তিনি ভোট দিয়েছেন। তিনি নিজে তিনবার কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন। তার আগে খলিসানি এলাকা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ছিল। পঞ্চায়েত ভোটেও তিনি ইলেকশন এজেন্ট ছিলাম। এখন যে ভোটার তালিকা দেওয়া হয়েছে সেই তালিকায় তিনি দেখেছেন তাঁর নাম নেই। অথচ তাঁর কাছে জন্মের শংসাপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য আছে। সেগুলো চাইলে তিনি দেখাতে পারবেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ যারা আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটলে তাঁরা কি করবেন। ভুয়ো ভোটারের কথা বলছে বিজেপি। সেগুলো ধরার দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের। 

অমিত আগরওয়ালের আশঙ্কা, যেমন নোট বন্দি করে মানুষকে লাইনে দাড় করিয়েছিল মোদি সরকার। আবারও একই ভাবে মানুষকে হয়রান করার চেষ্টা করা হচ্ছে এসআইআরের নাম করে। ডেপুটি মেয়রের হুঁশিয়ারি, কমিশনের এই পদক্ষেপ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে মানুষ উচিত জবাব দেবে। ডেপুটি মেয়রের প্রশ্ন, তিনি একজন রাজনৈতিক দলের কর্মী। পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র। এলাকায় যথেষ্ট পরিচিতি আছে। ভোটার তালিকায় তাঁরই যদি নাম না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে?