মিল্টন সেন, হুগলি: আলোর শহরে সাড়ম্বরে সম্পন্ন হল জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রা। নজর কাড়লো আলোর তৈরি নানা কার্টুন চরিত্র। শিব পার্বতীর মালা বদল। শনিবার নির্ধারিত সময়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা। চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের ৭০টি বারোয়ারী শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।
উপস্থিত থেকে শোভাযাত্রা পরিচালনা করতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, ডিসি হেডকোয়ার্টার ঈশানি পাল, ডিসি চন্দননগর অলকানন্দা ভাওয়াল, মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল, রাজ্য ও জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক প্রমুখ।
বিগত দিনে আলোর মাধ্যমে রাস্তায় চলমান কেদারনাথ, কাশি বিশ্বনাথ, লাল কমল, নীলকমল, ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন থিম করা হয়েছে আলোর মাধ্যমে। যা দেখতে দূর দূর থেকে মানুষ আসে চন্দননগরে। রাস্তার দু'পাশে মানুষ বসে থাকেন শোভাযাত্রা দেখার জন্য। সারারাত ধরে চলে শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রা দেখতে আসার জন্য বিশেষ ট্রেনের যেমন ব্যবস্থা থাকে, তেমনি ফেরি সার্ভিসও চালু থাকে। শতাব্দী প্রাচীন চন্দননগরের এই জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা একসময় নিয়ন বাতির আলো ছিল। হাতে টিউবলাইট জেলে শোভাযাত্রায় অংশ নিতেন বারোয়ারির সদস্যরা। সেই আলোর বিবর্তন ঘটে টুনি বাল্ব, এলইডি হয়ে এখন সারফেসের যুগ বাজনার তালে তালে জ্বলছে আলো। পুরনো সেই কলকার কাজও আছে। মেকানিক্যালের মাধ্যমে নানারকম চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয় আলোর মাধ্যমে।
বিভিন্ন মনীষীদের যেমন ছবি থাকে, ছোটদের জন্য ডিজনিল্যান্ড, মিকি মাউস, বিভিন্ন আলোর কার্টুন চরিত্র দর্শনার্থীদের মনে জায়গা করে নেয়।
ছবি পার্থ রাহা।
