আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলার চেষ্টা এবং ঘটনায় এক পুলিশকর্মীর নাম জড়িয়ে যাওয়ার কড়া অবস্থান নিল রাজ্য পুলিশ। বুধবার ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার রাহুল গোস্বামী জানিয়েছেন, যে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে আবাসনে নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ সুপারের কথায়, 'বিচারকদের নিরাপত্তার গুরুত্ব আমাদের কাছে সর্বাধিক। নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। সেজন্যই নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে নয়জন করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থাটি নিয়মিতভাবে নজরেও রাখা হবে।' তিনি জানান, এবিষয়ে বিচারকরা বুধবার একটি মিটিং ডেকেছিলেন। সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তাঁদের এবিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শিশু নিগ্রহের একটি মামলার রায় পছন্দ না হওয়ায় ডায়মন্ড হারবারে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলার চেষ্টা হয়। হামলার জন্য লোক পাঠানোর অভিযোগ ওঠে জেলারই এক পুলিশকর্মী কুমারেশ দাশের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আবাসনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দু'জনকে পাঠিয়েছিলেন। সেইসময় গেটে পাহারা দেওয়া এক হোমগার্ড তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। এরপর রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ দুই দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে আবাসনে ঢোকার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। গেটে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মী তাদের ঢুকতে দেয়নি।
রাতেই ডায়মন্ড হারবার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে ফোন করে জানান এক বিচারক। তিনি বাহিনী নিয়ে আসেন। ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করে আলিপুর জেলা জজকে চিঠি পাঠান তিনজন বিচারক। অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা জজ চিঠি লেখেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে।
অন্যদিকে ঘটনার কথা জানতে পেরেই পদক্ষেপ নেয় ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। এদিন পুলিশ সুপার বলেন, 'আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একজনকেও ছাড়া হবে না। সে পুলিশ বা যেই হোক না কেন।'
