আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। আর সেদিনই এনআরসি আতঙ্কে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি থেকে। জানা যায় প্রদীপ কর নামে ওই প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁর ঘর থেকে। মৃতদেহের পাশে পড়ে ছিল একটি সুইসাইড নোটও। জানা যায় যেখানে তাঁর মৃত্যুর জন্য এনআরসিকে–ই দায়ী করেছিলেন তিনি। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের আরেকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যা তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন এনআরসি আতঙ্কের ফল। তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘‌টিটাগড়ে এনআরসি আতঙ্কে ফের আত্মহত্যা। দায় নিক নির্বাচন কমিশন।’‌ 

জানা গিয়েছে, গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বারাকপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেজি স্কুল রোড মনসা মন্দিরের বাসিন্দা কাকলি সরকার (৩৩)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়  ওই মহিলার দুটি সন্তানও রয়েছে। কাকলি সরকারের শাশুড়ি দাবি করেন তাঁর ছেলে সবুজ সরকারের সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় কাকলিদেবীর। বাংলাদেশের নবাবগঞ্জ এলাকায় কাকলিদেবীর বাপের বাড়ি ছিল। ১৫ বছর আগে ঢাকা থেকে বিয়ে হয়ে ভারতে আসেন তাঁর ছেলে সবুজ সরকারের সঙ্গে। এসআইআর চালু হওয়ার পর থেকেই সমস্ত পরিবার আতঙ্কে ছিল। শুক্রবার ঘটনার পর তাঁর শাশুড়ি দাবি করেন, এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে ফিরে যেতে না হয় সেই চিন্তায় ছিলেন তাঁর বৌমা। কাকলিদেবীও বেশ কিছুদিন ধরে দাবি তুলেছিলেন তাঁকে বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য। এমনটাই পরিবার সূত্রে খবর। কিন্তু তার স্বামী সবুজ বলেছিলেন, এসব ঝামেলা মিটে গেলে তারপর তাঁকে বাংলাদেশ নিয়ে যাবেন। কিন্তু বুধবার রাতে দোতলার ঘরে গায়ে আগুন দিয়ে হঠাৎই আত্মহত্যা করেন কাকলিদেবী। পানিহাটির মতোই ঘরের দেওয়ালে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেই সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কী কারণে মৃত্যু সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ স্বামী সবুজ সরকার, শ্বশুর সুরেশ সরকার ও ভাসুর শান্তি সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।