আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশ কিছুটা দেরিতেই এবার বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। আর দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায় নিতেই এবার ধীরে ধীরে শীত পড়তে শুরু করে দিয়েছে। রাজ্যের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির দেখা মিললেও আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মনসুনের এবারের মতো দেশ থেকে বিদায় নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে নতুন করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তেমন প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আর নেই। মোটের ওপর দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় আবহাওয়া এবার থেকে ধীরে ধীরে শুষ্ক হতে শুরু করবে। আগামী সাতদিন বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না।

অন্যদিকে মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশের পর এবার মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, সিকিম, ওড়িশা, তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে হাওয়া অফিসের লেটেস্ট আপডেট অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে।

তার জেরে উত্তরবঙ্গের পাহাড় লাগোয়া কয়েকটি জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের কোথাওই আর নতুন করে প্রবল দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই।

বরং আজকের পর থেকে সর্বত্র আবহাওয়া শুষ্ক হতে শুরু করবে। বর্তমানে ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হলেও জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে পড়বে তা এখনও নিশ্চিত করে জানায়নি হাওয়া অফিস। জানা গিয়েছে, আর কয়েকদিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ধীরে ধীরে উত্তুরে বায়ু প্রবেশ করতে শুরু করবে। তার সঙ্গে সঙ্গেই তাপমাত্রার পারদ কমবে বাংলা জুড়ে।

উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর পরেই উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস, বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল উত্তরবঙ্গে। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। বৃষ্টির দাপট কমে যাওয়ায়, আবারও পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে। ছন্দে ফিরছে উত্তরবঙ্গ। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৩% থেকে ৯১%।