আজকাল ওয়েবডেস্ক: নতুন সপ্তাহ শুরু হতেই ফের আবহাওয়ায় তুমুল অস্থিরতা। ঘূর্ণিঝড় 'মান্থা' ক্রমেই স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলে সেটি দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

আবহবিদদের পূর্বাভাস, আগামীকাল, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর, ২০২৭ ) সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করবে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে। সেই সময়ে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে অন্ধ্র উপকূলে প্রবল দুর্যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

'মান্থা'র  প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে কতটা?
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় 'মান্থা' মূলত অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়লেও বাংলায় সরাসরি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম। তবে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সেই কারণে ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

সোমবার কোথায় কোথায় বৃষ্টি?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর, ২০২৭) দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, তবে পরবর্তী পরিস্থিতি ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথের ওপর নির্ভর করছে।

উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি:
আপাতত উত্তরবঙ্গে তেমন বৃষ্টির হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। তবে চলতি সপ্তাহে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।

একনজরে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে জরুরি তথ্য:

- ঘূর্ণিঝড় 'মান্থা' অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়তে পারে মঙ্গলবার সকাল নাগাদ

- বাতাসের গতিবেগ: ঘণ্টায় ৯০–১০০ কিমি

- বাংলায় বড় প্রভাব নেই, তবে উপকূলে সতর্কতা

- মৎস্যজীবীদের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ

- দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা

আরও পড়ুন- দেশজুড়ে SIR ঘোষণা আজই? হঠাৎই বিশেষ তৎপরতা নির্বাচন কমিশনে 

আরও পড়ুন- ওলা-উবারের দিন শেষ? চড়া ভাড়া থেকে মুক্তি দিতে আসছে সরকারি অ্যাপ ক্যাব ‘ভারত ট্যাক্সি’