আজকাল ওয়েবডেস্ক: কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি এবং ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। ইতিমধ্যেই, খানাকুল, উদয়নারায়ণপুরে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বন্যায় আক্রান্তদের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে কথা বলেছেন স্থানীয় সাংসদ এবং বিধায়কদের সঙ্গে। সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

 

 

এদিন ফের রাজ্যে বন্যা প্রসঙ্গে তিনি তোপ দাগলেন কেন্দ্রকে। ডিভিসিকে নিশানা করে তিনি বলেন, বাংলার দুর্ভাগ্য যে এখানে এবং আসামে যত বন্যা হয় অন্য কোথাও তত হয় না। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই আমাদের চিন্তা বাড়ে। কারণ, নিজেদের বাঁচাতে জল ছেড়ে দেয়। ডিভিসি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। কোনও কাজ না করার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঘর ডুবে যাচ্ছে। ভোটের জন্য যে টাকা খরচ করা হয়, তার একাংশ দিলেও বন্যা আটকাতে পারতাম। তবে বন্যা পরিস্থিতিতে যাঁদের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁদের জন্য শস্যবিমা প্রকল্প থেকে টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি।

 

 

জানিয়েছেন, আমি চাষি ভাই-বোনেদের চিন্তা করতে বারণ করব। যাঁদের জমি নষ্ট হয়েছে, তাঁদের জমি মেপে শস্যবিমার টাকা যাতে দ্রুত পান সেই ব্যবস্থা করছি। বন্যার কারণে নষ্ট হয়েছে একাধিক বাড়ি। ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করে দাবি করেছেন, আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই রাজ্য সরকারের তরফেই বাড়ি তৈরি করার কাজে সাহায্য করা হবে।

 

 

এদিনও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে ১১ লক্ষ বাড়ি করার জন্য সরকার টাকা দেবে। পঞ্চায়েত দপ্তরকেও বলা হয়েছে জল কমলেই তারা সমীক্ষার কাজ শেষ করবে তালিকায় নেই কিন্তু বাড়ি ভেঙেছে তাঁদেরও গুরুত্ব দিয়ে দেখবে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, এই বন্যাকে ম্যান মেড উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই দুবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে চিঠি লিখেছেন মমতা। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি।