মিল্টন সেন,হুগলি: দু' দিন নিখোঁজ থাকার পর রেল লাইন থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। প্রৌঢ়ের মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার চন্দননগর। বাড়িওয়ালা ভাড়াটে বিবাদ চরমে ওঠার পরই এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান বাড়ির মালিক। মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয় স্থানীয়দের বিক্ষোভ। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় ভাড়াটের দোকানে।

ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগর থানার অন্তর্গত মোল্লাহাজী এলাকায়। জানা গেছে, পেশায় টোটো চালক শঙ্কর দাস (৫৪) ওই এলাকায় থাকতেন। তাঁর বাড়ির চারটি ঘর ভাড়ায় দেওয়া ছিল। অভিযোগ সেই ভাড়াটেদের মধ্যে একজন পশুপতি পাশোয়ান। সম্প্রতি সে পাশেই দোতলা বাড়ি করে চলে গেলেও ভাড়া ঘর ছাড়েনি। ত

নিয়মিত ভাড়া বা বিদ্যুৎ এর বিল মেটানো নিয়ে অশান্তি চলতে থাকে। ভাড়াটে উচ্ছেদ করতে থানার দ্বারস্থ হন শঙ্কর। কিন্তু তাতে কাজ হয় না। এর মধ্যে বিদ্যুৎ-এর বিল মেটাতে না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার নোটিশ আসে তার বাড়িতে। বাধ্য হয়ে দিন কয়েক আগে তিনি বাড়ির মেইন সুইট অফ করে দেন।একাধিক ঘটনার পর, গত শুক্রবার শঙ্করকে থানায় ডেকে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ।

পরের দিন শনিবার ভোর পাঁচটায় কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তারপর থেকে আর তাঁর কোনও খোজ মেলেনি। ঐদিন রাতেই নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবার। খোঁজখবর চলতে থাকে। বাড়িওলয়ার পরিবার জানতে পারেন ব্যান্ডেল জিআরপি থানা শুক্রবার সকালে হুগলি স্টেশন থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। জিআরপি সূত্রে জানানো হয়, আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চন্দননগরে। এরপরই উত্তেজনার ছড়ায়। অভিযুক্ত পশুপতির দোকান ভাঙচুর করে স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ মৃত্যুর রহস্যজনক সত্য উদঘাটঠিত হওয়া প্রয়োজন। ভাড়াটে ও তার ছেলে উচ্ছেদের কথা বললেই হুমকি দিত।
পরিবার জানিয়েছে, তারা অভিযোগ করবেন থানায়। এদিন পশুপতি পাশোয়ানের বাড়ির দরজায় মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে, অন্যথায় এভাবেই মৃতদেহ রেখে দেওয়া হবে। পরে চন্দননগর থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মৃতদেহ সৎকার করতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ছবি পার্থ রাহা।