আজকাল ওয়েবডেস্ক: সদ্যোজাত সন্তানের দিকে তাকিয়ে হঠাৎই এক মহিলা আবদার করে বসলেন তাঁর শিশুটিকে খুব কোলে নিতে ইচ্ছে করছে। আর তারপরেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা। শিশুটির মায়ের কোল থেকে সদ্যোজাতকে রীতিমতো জোর করে নিয়ে এক দৌড়। হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে চম্পট দিল মহিলা।
ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। সদ্যোজাতের জন্য শুরু হয় খোঁজ। বেশ কিছুক্ষণ পর শ্রীরামপুর নগার মোড় এলাকায় ধরা পড়ে ওই মহিলা। উদ্ধার হয় শিশুটিও। বুধবার দুপুরে সদ্যোজাত চুরির অভিযোগে হুলুস্থুল পড়ে যায় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে।
তবে পুলিশের উদ্যোগে কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার হয় অপহৃত শিশু। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত মহিলাকে। জানা গিয়েছে, গত বুধবার কোন্নগর ঘোষাল বাগানের বাসিন্দা নেহা কুর্মি প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার সিজার করে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ তার ছুটি হয়। বাইরে গাড়ি ডাকতে যান পরিবারের লোক। সেই সময় কালো বোরখা পরে এক মহিলা এসে বলে তারও নাতি হয়েছে। তাই শিশুটিকে কোলে নিতে ইচ্ছে করছে। এরপরই মায়ের কোল থেকে শিশুকে নিয়ে সোজা দৌড়তে শুরু করেন।
ক্ষণিকের মধ্যেই হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে পালিয়ে যান ওই মহিলা। পুলিশ খবর পেয়ে তৎপর হয়। সিসিটিভিতে দেখা যায় মহিলা শিশু কোলে গেট দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান আই সি শ্রীরামপুর, এসিপি সহ চন্দনগর পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের উদ্যোগে শহর জুড়ে শুরু হয়ে যায় নাকা চেকিং। চেকিং চলাকালীন শ্রীরামপুর নগার মোড়ে সন্দেহজনক মহিলাকে আটক করে পুলিশ।
উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সদ্যোজাত। শিশু উদ্ধারে হাঁফ ছাড়ে পুলিশ। কান্না থামে মায়ের। স্বস্তি ফিরে আসে পরিবারের সদস্যদের। সব কিছু থাকা সত্ত্বেও তবু আবারও একবার হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল এই ঘটনা।
