আজকাল ওয়েবডেস্ক: লাগাতার আন্দোলন। ধাক্কা খাচ্ছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা। সিনিয়র চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রাখাটা যে সম্ভব হচ্ছে না তা অস্বীকার করছেন না কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে একজন সিনিয়র চিকিৎসক তাঁর শারীরিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েও ডিউটি সামাল দিচ্ছেন।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর প্রতিকারের দাবিতে পথে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই আন্দোলনে একদিকে যেমন আছেন আরজি কর-এর চিকিৎসকরা তেমনি যোগ দিয়েছেন শহরের অন্যান্য হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরাও। আন্দোলনের ধাক্কায় আপাতত আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তেমনি গেলে চিকিৎসা পাওয়া যাবে না এই আশঙ্কায় আরজি কর না গিয়ে শহরের বাকি হাসপাতালগুলিতে ভিড় করছেন রোগীরা।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক সিনিয়র চিকিৎসক রোগীদের চাপ নিয়ে বলতে গিয়ে জানান, বাইরে ভিড় করে আছেন রোগীরা। আউটডোর থেকে বেরতে বেরতে সন্ধ্যে ছ'টাও বেজে যাচ্ছে। ওই চিকিৎসকের কথায়, কিছু কিছু সিনিয়র চিকিৎসকের যথেষ্টই বয়স হয়েছে। ফলে তাঁদের পক্ষে রাতে ডিউটি বা এতটা চাপ নেওয়া যথেষ্টই সমস্যা হচ্ছে।
 
 একই অভিজ্ঞতা শহরের অন্যান্য হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের। এমনকী এই অভিযোগও উঠেছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় রোগী ফিরিয়ে দিতে পর্যন্ত বাধ্য হচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  এবিষয়ে শহরের একটি মেডিক্যাল কলেজের এক সিনিয়র চিকিৎসক জানান, বিশেষ করে অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সেটা চোখ বা শরীরের যে কোনও অঙ্গ হতে পারে। 
তাঁর কথায়, 'খুব দরকার ছাড়া এইমুহূর্তে অস্ত্রোপচারের রোগীকে আমরা কোনও 'ডেট' দিচ্ছি না। এমনও হয়েছে রোগী হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি বোঝার পর বেসরকারি হাসপাতালে চলে গিয়েছেন।'
শিয়ালদা স্টেশনের কাছেই এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ। রেলপথে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যায় বলে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার বহু রোগী এই হাসপাতালে প্রতিদিন ভিড় করেন। আন্দোলনের জেরে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হলে অধ্যক্ষ ড: পীতবরণ চক্রবর্তী বলেন, 'আমরা সর্বোতভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার। কোনও 'ক্রিটিক্যাল' রোগীকে আমরা ফেরত পাঠাচ্ছি না। যেটুকু সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা প্রাণপণে কলেজের সকলে মিলে সামাল দেওয়া হচ্ছে।'
