আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া এলাকায় কালীপুজোর রাতে ঘটল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মঙ্গলবার রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে কটূক্তি ও মারধরের শিকার হলেন এক তরুণী এবং তাঁর বন্ধু।
জানা গিয়েছে, বোন এবং বোনের বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন পেশায় চিকিৎসক তরুণীর মাসতুতো দাদা। সূত্রের খবর, ওই তরুণীর দাদা চিকিৎসক সুমন সাহা স্থানীয় মেডিকেল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর।
তাঁর মাসতুতো বোন অংশুমিতা পাল কালীপুজোর রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে যেতেই রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন কিশোর তাঁদের উদ্দেশে কটূক্তি করতে শুরু করে।
প্রতিবাদ করলে ওই যুবকের দল অংশুমিতা ও তাঁর বন্ধুকে মারধর করে বলে অভিযোগ। অংশুমিতার দাবি, ‘আমি আর আমার বন্ধু বাইকে করে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম। পাড়ার মোড়ে কয়েকজন কিশোর দাঁড়িয়ে ছিল।
বয়স এই পনেরো-ষোলো বছর হবে। ওরা আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে, এমনকি হাত ধরে টানাটানিও করে। আমার বন্ধু বাধা দিলে ওকে মারধর করে, এমনকি কামড়েও দেয়।’ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন অংশুমিতার দাদা সুমন সাহা।
কিন্তু দাদাকে দেখেই দুষ্কৃতীরা তাঁর উপরও চড়াও হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সুমন সাহাকে বেধড়ক প্রহার করে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
তবে ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বলে খবর। পরে আক্রান্ত তরুণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
