আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত সরকার দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপকারের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালপ করেছে। বিভিন্ন চাহিদা পূরণের কথা বিবেচনা করে এইসব প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার আর্থিক সহায়তা, পেনশন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করে। অনেক মানুষের, বিশেষ করে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরতদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল অবসর গ্রহণের পরে আর্থিক সুরক্ষা।
এই ধরনের ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য, সরকার একটি সাশ্রয়ী মূল্যের পেনশন প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে, প্রতি মাসে মাত্র ৫৫ টাকা সঞ্চয় করলে অবসরকালে ৩,০০০ টাকা মাসিক পেনশন পাওয়া সম্ভব।
শ্রমিকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের পেনশন
 
 সরকারি এই প্রকল্পের নাম 'প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা'। অবসরগ্রহণের পর যাঁদের  কোনও আর্থিক সুরক্ষার ব্য়বস্থা নেই, এই প্রকল্পটি সেইসব অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাদের সহায়তা করার জন্য, সরকার ২০১৯ সালে এই প্রকল্পটি চালু করে। এই পরিকল্পনার অধীনে, শ্রমিকরা তাঁদের কর্মজীবনে প্রতি মাসে মাত্র ৫৫ টাকা সংরক্ষণের বিনিময়ে, অবসর গ্রহণের পর মাসিক ৩,০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। এই উদ্যোগটি নিশ্চিত করে যে কম আয়ের লোকেরাও খুব বেশি আর্থিক বোঝা ছাড়াই তাদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে পারে।
এই প্রকল্প থেকে কারা উপকৃত হতে পারেন?
 
 'প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা'টি বিশেষভাবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য তৈরি। এর মধ্যে রয়েছে:
 
 বর্জ্য সংগ্রহকারী
 
 লন্ড্রি শ্রমিক
 
 রিকশা চালক
 
 চামড়া শ্রমিক
 
 ইট ভাটার শ্রমিক
 
 গৃহস্থালির শ্রমিক
 
 নির্মাণ শ্রমিক
এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল, যদি কোনও শ্রমিক প্রতি মাসে ২০০ টাকা প্রতি মাসে জমায় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের পেনশন তহবিলে ২০০ টাকাও জমা করবে। অর্থাৎ, একজন শ্রমিক পেনশন তবহিলে যত পরিমাণে টাকা জমাবেন, সরকারও 
 
 একই অঙ্কের টাকা সংরক্ষিত রাখবে।
কীভাবে সংরক্ষিত রাখবেন?
 
 শ্রমিকরা ১৮ বছর বয়স থেকে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন।
 
 যদি তারা ১৮ বছর বয়স থেকে শুরু করে, তাহলে তাদের প্রতি মাসে মাত্র ৫৫ টাকা করে অবদান রাখতে হবে।
 
 যদি তারা ২৯ বছর বয়স থেকে শুরু করে, তাহলে তাদের মাসিক অবদান ১০০ টাকা হবে।
অবসর গ্রহণের পর কোন শ্রমিক কত পরিমাণ পেনশন পাবেন, তা নির্ভর করবে ওই শ্রমিক কত টাকা পেনশন তহবিলে জমাতে পেরেছেন তার উপর। এই প্রকল্পটি নিম্ন আয়ের কর্মীদের জন্য ন্যূনতম বিনিয়োগ এবং সরকারি সহায়তার মাধ্যমে অবসরকালে আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার একটি চমৎকার সুযোগ।
