গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ভাইরাল হয়েছে অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুরের এক পুরনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও। সেখানে ম্রুণালকে শোনা যায় বলতে—“তুমি কি এমন মেয়েকে বিয়ে করবে, যার মধ্যে পৌরুষ বেশি রয়েছে, যার শরীর সাজানো থরে থরে মাংসপেশিতে? তাহলে গিয়ে বিয়ে করো বিপাশাকে। শোনো, আমি বিপাশার চেয়ে অনেক ভাল! ঠিক আছে?”
বুধবার বিপাশা বসু নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে করলেন এক রহস্যময় পোস্ট—যেটা অনেকেরই মতে সরাসরি জবাব না হলেও তা হচ্ছে ম্রুণালের মন্তব্যের বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও পাল্টা জবাব। বিপাশার স্টোরিতে লেখা ছিল—“শক্তিশালী নারীরা একে অন্যের হাত ধরে উন্নতিসাধন করে।” শুধু তাই নয়, ক্যাপশনে তিনি আরও যোগ করলেন—“সুন্দরী মহিলারা, পেশি গড়ো। আমাদের শক্তিশালী হওয়া উচিত। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য সুগঠিত পেশি থাকা অত্যন্ত জরুরি! তাই এই পুরনো ধারণা ভেঙে দাও যে, মেয়েরা শক্তিশালী বা অ্যাথলেটিক দেখাবে না।”
যদিও বিপাশা কোথাও ম্রুণালের নাম উল্লেখ করেননি, স্টোরির শেষে লিখলেন—“নিজেকে ভালবাসুন। ” ম্রুণাল এখনও এ নিয়ে মুখ খোলেননি।

কাজের দিক থেকে, সম্প্রতি ম্রুণালকে দেখা গেছে ‘সন অফ সর্দার ২’-এ, অজয় দেবগনের নেতৃত্বে তৈরি এই কমেডি ছবি মুক্তি পায় ১ আগস্ট। তবে বক্স অফিসে ছবিটি সাড়া ফেলতে পারেনি। সামনে রয়েছে ‘ডাকুইট: আ লাভ স্টোরি’ এবং ২০২৬ সালে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘হ্যায় জওয়ানি তো ইশক হোনা হ্যায়’, যেখানে আছেন বরুণ ধওয়ান ও পূজা হেগড়ে।
অন্যদিকে, বিপাশাকে শেষবার বড়পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালে ‘অ্যালোন’ ছবিতে। তারপর থেকে অভিনয়ে বিরতি নিয়ে তিনি মন দিয়েছেন পরিবার ও মাতৃত্বে। ২০১৬ সালে করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে বিয়ে, আর ২০২২-এ জন্ম নিয়েছে তাঁদের কন্যা, দেবী।
অন্যদিকে, বিপাশাকে শেষবার বড়পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালে ‘অ্যালোন’ ছবিতে। তারপর থেকে অভিনয়ে বিরতি নিয়ে তিনি মন দিয়েছেন পরিবার ও মাতৃত্বে। ২০১৬ সালে করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে বিয়ে, আর ২০২২-এ জন্ম নিয়েছে তাঁদের কন্যা, দেবী।পর্দায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে না থাকলেও, ২০০০-এর দশকের অন্যতম গ্ল্যামার কুইন বিপাশা বসু এখনও অগণিত ভক্তের মনে রয়ে গেছেন। ‘রাজ’, ‘জিসম’–এর মতো হরর ও ইরোটিক থ্রিলার থেকে শুরু করে ‘নো এন্ট্রি’, ‘ধুম ২’–এর মতো ব্লকবাস্টার—প্রায় সব ঘরানার ছবিতেই সাফল্যের ছাপ রেখেছেন তিনি। অন্যদিকে, প্রয়াত অমর সিং ছিলেন সমসাময়িক ভারতীয় রাজনীতির প্রভাবশালী ও বিতর্কিত এক নাম। সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতাদের অন্যতম, যিনি রাজনৈতিক কূটচালে ছিলেন সিদ্ধহস্ত।
২০১১ সালে হঠাৎ করেই একটি টেলিফোন আলাপচারিতার রেকর্ডিং প্রকাশ্যে আসে, যা নাকি কয়েক বছর আগেই রেকর্ড করা হয়েছিল। কথিত ছিল—কলের দুই প্রান্তে ছিলেন বিপাশা বসু ও অমর সিং! মুহূর্তেই এই অডিও ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে, রাজনীতি ও বিনোদন—দুই দুনিয়ায়ই শোরগোল পড়ে যায়।সেই অডিওটিতে শোনা গিয়েছিল, দু’পক্ষের মধ্যে হালকা-ফুলকা খুনসুটি ও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। বিপাশাকে নাকি বলতে শোনা যায়—“বয়স কোনও ব্যাপার না।” এর উত্তরে সিংয়ের মন্তব্য—“বয়স শুধু দু’পায়ের মাঝখানে ব্যাপার করে।” ইঙ্গিত সহজ। বয়স নির্ভর করে যৌনক্ষমতার ওপর!
তখনও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ আসেনি, কিন্তু রেকর্ডিংটি বিদ্যুৎবেগে ছড়িয়ে পড়ে নানান ওয়েবসাইটে। জনতামহলে শুরু হয় চর্চা—শুধু দু’জনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েই নয়, বরং গণমাধ্যম ও জনতার অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ নিয়েও।
বিপাশা বসু ও অমর সিং—দু’জনেই এই কলের সত্যতা অস্বীকার করেন। একে ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে দাবি করে ধীরে ধীরে তাঁরা বিতর্কের বাইরে চলে আসেন। তবে কেলেঙ্কারিটি বলিউড–রাজনীতি সংযোগের এক কুখ্যাত উদাহরণ হয়ে থেকে যায়।
