সংবাদ সংস্থা মুম্বই: “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”—এই বাক্যই যেন বলে দিল সবকিছু। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এই প্রার্থনাটিই পোস্ট করলেন নোরা ফতেহি। আর সেই সঙ্গে প্রশ্ন জাগল—কে চলে গেল? কাকে হারালেন নোরা? রবিবার সকালে একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় মুম্বই বিমানবন্দরে দেখা গেল নোরা ফতেহি-কে। চোখ ঢাকা বড় কালো চশমায়, মুখে স্তব্ধতা, কিন্তু তার মধ্যেও স্পষ্ট চোখের জল। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা বন্দি করল সেই মুহূর্ত— সমাজমাধ্যমের একটি রিল-এ ধরা পড়ল অভিনেত্রী যখন কান্না চাপার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন, তখনই এক ব্যক্তি আচমকা অভিনেত্রীর দিকে এগিয়ে এল নিজস্বী তুলতে! আর সেখানেই যেন ছিঁড়ে গেল সহানুভূতির শেষ সুতোটাও।
নোরার দেহরক্ষী সেই ব্যক্তিকে ঠেকাতে গিয়ে চোখে-মুখে প্রকাশ করলেন বিরক্তি। তবুও থামেনি ক্যামেরার ঝলকানি। যেন এক তারকার শোকেও বিনোদনের খোরাক খুঁজে বেড়াচ্ছে কেউ কেউ।

এই ঘটনার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াল ক্ষোভের ঝড়। একজন লিখলেন, “ নোরাকে কাঁদছেন আর সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে চাইছেন এক ব্যক্তি! মানুষের মধ্যে কি দয়ামায়া সব মরে যাচ্ছে?” আর এক ব্যক্তি লিখলেন, “আরে ও কাছের কাউকে হারিয়েছে। ওকে একটু নিজের মত থাকতে দাও। তারকা বলে কি মানুষ না নাকি?” আরও একজন কটাক্ষ করলেন—“ তারকাকে দেখলেই ছবি চাই? একজন মানুষ কাঁদছেন, সেটাও দেখতে পেল না?”
তবে এই ঘটনার কেন্দ্রে যে গভীর শোক রয়েছে, তা স্পষ্ট তাঁর প্রার্থনায়। ইসলাম ধর্মাবলম্বী কেউ মৃত্যুবরণ করলে এই বাক্যই উচ্চারিত হয় তাঁর কাছের মানুষ, আত্মীয়দের মধ্যে। অর্থাৎ, নোরা ফতেহি সম্ভবত একজন কাছের মানুষকে হারিয়েছেন। যদিও তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি, তাঁর ব্যবহার, চোখের জল, এবং প্রার্থনা—সব মিলিয়ে শোক যেন হাড়ে হাড়ে অনুভব করেছে নেটপাড়া।আর সেই কান্নার মাঝেই যদি কেউ ক্যামেরা নিয়ে এগিয়ে আসে, তবে প্রশ্ন ওঠে—মানবিকতা কি সত্যিই এতটা বিলুপ্ত?
নোরা ফতেহিকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘বি হ্যাপি ও নেটফ্লিক্স-এর ‘দ্য রয়্যালস’ সিরিজে। সামনে মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর কাঞ্চনা ৪ ও কেডি – দ্য ডেভিল। তবে এই মুহূর্তে তাঁর জীবন যে একেবারে অন্য সুরে বাজছে—তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
