বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর অসুস্থতার খবরে গত কয়েক দিন ধরে ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগে ভরে ওঠে সামাজিক মাধ্যম।

তবে সোমবার সকালে সেই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটালেন অভিনেতার স্ত্রী এবং প্রখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী। মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে দেখা যায় গোলাপি-সাদা ফুলেল পোশাকে, আগের মতোই সুন্দর এবং হাস্যোজ্জ্বল। পাপারাজ্জি ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে, হেমা শুধু একটি ‘ওকে’ ইশারা করেন — যা থেকেই স্পষ্ট, অভিনেতা এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ধর্মেন্দ্রর অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি আইসিইউ-তে রয়েছেন, তবে চিন্তার কিছু নেই। এক হাসপাতালকর্মী জানান, “ধর্মেন্দ্রবাবু শ্বাসকষ্টের অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। বর্তমানে তিনি বিশ্রামে আছেন। তাঁর হার্ট রেট ৭০, রক্তচাপ ১৪০/৮০ এবং ইউরিন আউটপুট স্বাভাবিক— সব কিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। যদিও পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, “কেউ হয়তো তাঁকে হাসপাতালে দেখে ভুল খবর রটিয়েছে। ধর্মেন্দ্র একদম ভাল আছেন, নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্যই গিয়েছিলেন।” তবে কিছু পরেই এক সর্বভারতীয় সংবামাধ্যম দাবি করে, অভিনেতা গত পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে ধর্মেন্দ্রর চোখে কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্ট হয়। হাসপাতাল থেকে বার হওয়ার সময় তাঁর চোখে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তখনও হাসিমুখে তিনি ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “আমি ঠিক আছি। ধর্মেন্দ্রর মধ্যে এখনও অনেক দম আছে। আমার চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছে, কিন্তু আমি ঠিক আছি। আমার দর্শক আর ভক্তদের ভালোবাসি।”

৮ ডিসেম্বর নব্বই বছরে পা দেবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। খুব শিগগিরই তাঁকে দেখা যাবে পরিচালক শ্রীরাম রাঘবনের নতুন ছবি ‘ইক্কিস’-এ। ম্যাডক ফিল্মস প্রযোজিত এই জীবনীমূলক ছবিতে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে অভিনয় করছেন অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দ এবং জয়দীপ আহলাওয়াত। ডিসেম্বর মাসেই মুক্তি পেতে চলা এই ছবিটি ঘিরে ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তৈরি হয়েছে।

বলিউডের ‘চিরসবুজ নায়ক’ ধর্মেন্দ্র। বর্ষীয়ান এই অভিনেতা আজও দারুণ জনপ্রিয় দর্শকমহলে। চলচ্চিত্র জগতের সহকর্মী ও ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছেন। ধর্মেন্দ্রর প্রাণশক্তি ও ইতিবাচকতা এখনও অনেক তরুণ অভিনেতার অনুপ্রেরণা। ভক্তদের আশা, তাঁদের প্রিয় অভিনেতা আবারও হাসিমুখে পর্দায় ফিরবেন, আগের মতোই সুস্থ এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠবেন।