নিজস্ব সংবাদদাতা: গল্পের মোড়ে আঁখি ও ঝিলিক এখনও একে অন্যের হয়ে 'প্রক্সি' দেয়। কিন্তু তারা এখনও জানে না যে আসলে তাদের পরিচয় কী? দুই যমজ বোন কি চিনতে পারবে নিজেদের? জানতে আজকাল ডট ইন পৌঁছে গিয়েছিল ম্যাকনেল স্টুডিওয়, স্টার জলসার 'দুই শালিক'-এর শুটিং ফ্লোরে।
চার আনার চিৎকারে ফ্লোরে কান পাতা দায়। যদিও সবটাই দৃশ্যের খাতিরে। অন্ধকারে দেবাকে দেখে ভয় পেয়েছে সে। কিছুক্ষণ পর আঁখির ছুটি মিলল। ফ্লোরের বাইরে আসতেই গৌরবের সঙ্গে মুখোমুখি। পর্দায় দু'জনের একটু গোলমেলে সম্পর্ক। ঠিক কেমন সম্পর্ক দু'জনের? প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেন পর্দার 'আঁখি' ওরফে তিতিক্ষা দাস। হাসি থামিয়ে বলেন, "গৌরব আমার দেওর আর জামাইবাবু দুটোই। বেশ মজার সম্পর্ক। সচরাচর এরকম দেখা যায় না কিন্তু।" এই যে আঁখির পাশে দাঁড়িয়ে আছেন, দেবা দেখলেই তো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠবে! 'গৌরব' ওরফে সায়ন বসুর জবাব, "ও যে আমার বউয়ের পাশে দাঁড়ায়, রিল করে, ছবি তোলে আমি কিছু বলি? দেবার এত বউভক্তি ভাল না। যা দেখছি ওকে শেখাতে হবে অনেককিছু।" কথা শেষ হতে না হতেই কলার তুলে হাজির 'দেবা' ওরফে অর্কপ্রভ রায়। পাশাপাশি তিনজন থাকলেও একটু অসম্পূর্ণ। কারণ, পর্দার 'ঝিলিক' ওরফে নন্দিনী দত্ত নেই। নন্দিনীর কথা উঠতেই সায়ন মজার ছলে বলেন, "খুব মন খারাপ আমার শালিকটা উড়ে গিয়েছে বলে। যাই খুঁজে নিয়ে আসি।"
দেবাকে আঁখি-ঝিলিক দু'জনের সঙ্গেই দারুণ পছন্দ করেছেন দর্শক। প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই অর্কপ্রভর জবাব, "কারণ ডিমান্ড বেশি।" এই কথা শুনে তিতিক্ষা বলেন, "ও বাবা! একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না? কন্ট্রোল!" দু'জনের হাসি আর খুনসুটিতে জমলো আড্ডা। আপনাদের বাস্তবেও জুটি ভাবতে শুরু করেছেন দর্শক! অর্কপ্রভর জবাব, "সে আর কী বলব, ভালই লাগে চর্চায় থাকতে।" শুধু কয়েকটা শব্দে অর্কপ্রভকে চেনাতে হলে কী বলবেন? তিতিক্ষার কথায়, "অনেক পয়েন্ট আছে আমার কাছে। বলতে শুরু করলে শেষ হবে না। যেমন, লেট করে শুটিংয়ে আসা, তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে চাওয়ার বায়না, খুব গোছানো, প্রচুর ট্যানট্রাম, খুব জেদি, খুব ভাল বন্ধু। মজার বিষয় হল এই পয়েন্টগুলো শুধু অর্কপ্রভর ক্ষেত্রে নয়, নন্দিনীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমাকে আর নন্দিনীতে খানিকটা একরকম দেখতে হলেও, অর্কপ্রভ-নন্দিনীর স্বভাবে অনেক মিল রয়েছে।"
আড্ডায় ঢুকে পড়ল এবার ছোট্ট 'চার আনা' ওরফে তৃষাণ ঘোষ। তাকে কোলে তুলে খুনসুটিতে মাতলেন অর্কপ্রভ। সঙ্গ দিলেন তিতিক্ষাও।
