গণেশ চতুর্থীর ঐতিহ্য ও উদযাপন—এই সব কিছুতেই বরাবর আলোচিত অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি। প্রতিবছর ধুমধাম করে গণপতি দেবের পুজো করেন শিল্পার পরিবার। কিন্তু এই বছরের গণেশ চতুর্থীতে যোগদান করছেন না শিল্পা। এই বছর উৎসবের আলো থেকে দূরে রয়েছেন তিনি ও স্বামী রাজ কুন্দ্রা।
শুধুমাত্র তাই নয়, তিনি আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে পুজোয় সামিল হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পরিস্থিতির কারণে তা পারছেন না তিনি।এই আকস্মিক ঘোষণায় দর্শক এবং শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে যথেষ্ট হতাশা তৈরি করছে। তবুও শিল্পা আশ্বস্ত করেছেন—“পরবর্তী বছর পুণরায় সেই আনন্দ ফিরিয়ে আনার ইচ্ছা রয়েছে।”

অভিনেত্রীর এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে একটি ব্যক্তিগত শোক—শিল্পা এবং কুন্দ্রা পরিবার নির্ধারণ করেছে ১৩ দিনের শোক পালন করবেন। তাই এই সময়কালে কোনও ধর্মীয় বা সামাজিক উৎসবের আয়োজন থাকবে না। সম্প্রতি, সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই খবরে সিলমোহর দিয়েছেন শিল্পা। তিনি লেখেন, 'প্রিয় বন্ধুরা, গভীর শোকের সঙ্গে আপনাদের জানাতে চাই যে, পরিবারের অপ্রত্যাশিত শোকে এই বছর আমরা গণপতি অনুষ্ঠান পালন করতে পারছি না। ঐতিহ্য অনুযায়ী আমরা ১৩ দিনের শোক পালন করব এবং তাই সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকব।'
আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন পরিণীতি চোপড়া, জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সুখবর দিলেন অভিনেত্রী
ঠিক কী কারণে শিল্পার পরিবার শোক পালন করছেন তা যদিও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে অভিনেত্রীর এই ঘোষণায় নেটপাড়ায় ইতিমধ্যেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ফের বিপাকে পড়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি এবং তাঁর ব্যবসায়ী স্বামী রাজ কুন্দ্রা। তারকা দম্পতির বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। দম্পতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন মুম্বাইয়ের এক ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, শিল্পা ও রাজের বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্থা 'বেস্ট ডিল টিভি প্রাইভেট লিমিটেড' -এ তিনি ৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু ওই পুরো টাকাটাই ব্যক্তিগত স্বার্থে আত্মসাৎ করেছেন বলি অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামী বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে যদিও শিল্পা শেঠি ও রাজ কুন্দ্রার আইনজীবী প্রশান্ত পাটিল অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন ও দুর্বৃত্তিমূলক' বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “এই লেনদেনটি সম্পূর্ণ সিভিল প্রকৃতির এবং ২০২৪ সালের ৪ অক্টোবরলোটাস ক্যাপিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, মুম্বই এই বিষয়ে নিষ্পত্তি করেছে। এখানে কোনও অপরাধমূলক দিক নেই।”
তারকা জুটির আইনজীবী আরও জানান, উক্ত অর্থ ছিল ইকুইটি বিনিয়োগ, যা পরবর্তীতে কোম্পানির আর্থিক সংকট ও লিকুইডেশন প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের কাছে সমস্ত আর্থিক নথি ও প্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা ১৫ বারেরও বেশি ইওডব্লু-র দফতরে গিয়ে নথি পেশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
প্রশান্ত পাটিলের দাবি, “আমার মক্কেলদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। আমরা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।”
