টিআরপি তালিকায় ফের বদল। গত দু’সপ্তাহ ধরে শীর্ষে থাকা 'রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী' নিজের স্থান হারাল। এক নম্বরে ফের উঠে এল তৃণা সাহা এবং ইন্দ্রজিৎ বসু অভিনীত 'পরশুরাম’। নতুন শুরু হওয়া ইতিহাস-ভিত্তিক ধারাবাহিকের সঙ্গে দৌড়ে খানিক পিছিয়ে পড়লেও পুনরায় সর্বোচ্চ টিআরপি পেয়ে স্বমহিমায় প্রথম স্থান দখল। প্রাপ্ত নম্বর ৭.১। রাজনন্দিনী পালের ‘রাণী ভবানী’ পেল ৬.৬।

তৃণা এবং ইন্দ্রজিতের 'পরশুরাম- আজকের নায়ক' রাজত্ব চালিয়েছে টিআরপি তালিকায়। আজকাল ডট ইন-কে নায়িকা বলেছিলেন, "কন্টেন্ট ভাল হলেই তা দর্শক দেখবে। এতে আমার কোনও অবদান নেই। আমায় যা করতে বলা হয়, পর্দায় তা-ই করি। এমনও ধারাবাহিক করেছি, যা চার মাসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গল্প ভাল হলেই দর্শক তা গ্রহণ করবে।"

দ্বিতীয় স্থানে একা নয়  'রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী'। সেই স্থান ভাগ করে নিতে হয়েছে ‘চিরসখা’র সঙ্গে। কমলিনী-স্বতন্ত্রর রসায়ন, তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন, পারিবারিক ওঠাপড়া, এসব কিছুই টিআরপি তালিকায় উপরের দিকে স্থান করে দিয়েছে ধারাবাহিকটিকে। নম্বর বেড়েছে হুহু করে। গত সপ্তাহে ৬.৪ নম্বর পাওয়া এই ধারাবাহিক এবার উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘জগদ্ধাত্রী’। প্রাপ্ত নম্বর ৬.৫।  গত সপ্তাহে চতুর্থ স্থানে ছিল এই ধারাবাহিক। বর্তমানে যেখানে খুব অল্প দিনেই মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে ধারাবাহিকগুলির, সেখানে এই মেগা বছরের পর বছর ধরে দর্শকের মনে একচেটিয়া জায়গা ধরে রেখেছে।

পিছিয়ে নেই ‘পরিণীতা’ও‌। টিআরপি তালিকায় চতুর্থ স্থান দখল করেছে এই ধারাবাহিক। চলতি সপ্তাহে বড় চমক ছিল এই ধারাবাহিকে। দেখানো হয়, প্রবল অসুস্থ রায়ানের দাদু। সঙ্কটজনক অবস্থায় সে শয্যাশায়ী। নাতি-নাতবউকে আরও একবার বিয়ের সাজে দেখাই তার সুস্থ হওয়ার পথ্য। রাখঢাক না করেই পরিবারের সদস্যদের কাছে সেই আবদার রাখে সে। দাদুকে ফেরাতে উদ্যমী তারাও। ছাড়ার পাত্র কেউ নয়। ফলে যেমন কথা তেমন কাজ। বর-বউয়ের সাজে হাসপাতালে মালাবদল হয় রায়ান-পারুলের।

পঞ্চমে রয়েছে স্টার জলসার ধারাবাহিক 'রাঙামতি তীরন্দাজ'‌‌। এই ধারাবাহিকের নম্বর আর স্থান মোটামুটি শুরু থেকেই একই জায়গায় ঘোরাফেরা করে। প্রাপ্ত নম্বর ৬.২। সামান্য নম্বরের জন্য 'রাঙামতি তীরন্দাজ'‌‌কে টপকে যেতে পারেনি ‘ফুলকি’। ৬.১ পেয়ে এই ধারাবাহিক পেয়েছে ষষ্ঠ স্থান।

টিআরপি তালিকায় নিজের জায়গা ধরে রেখেছে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। ৫.৯ পেয়ে চলতি সপ্তাহেও এই ধারাবাহিক সপ্তম স্থানে। জিতু কমল এবং দিতিপ্রিয়া রায় ব্যক্তিগত বিবাদ মিটিয়ে ধারাবাহিকের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করছেন। দর্শকও তাঁদের নিরাশ করেননি। 

প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিয়েছে ‘আমাদের দাদামণি’ও। ৫.৪ পেয়ে রয়েছে অষ্টম স্থানে। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ এবং ‘গৃহপ্রবেশ’ যৌথভাবে দখল করেছেন নবম স্থান। প্রাপ্ত নম্বর ৫.৩। দীর্ঘ সময় ধরে এক নম্বরে থাকা ‘কথা’ নেমে এসেছে দশম স্থানে। ধারাবাহিকটি ৪.৬ নম্বর পেয়েছে।