‘নরসিংহ’-এর গর্জন!
পরিচালক অশ্বিন কুমারের মহাবতার ‘নরসিংহ’ যেন ধীরে ধীরে নয়, বজ্র গতিতে এগোচ্ছে ইতিহাসের দিকে! ২৫ জুলাই মুক্তি পাওয়া এই মাইথোলজিক্যাল অ্যানিমেটেড ছবিটি মঙ্গলবারেই ভারতের বক্স অফিসে ছুঁয়ে ফেলল ১০৬.০৫ কোটি টাকা নেট—এবং এতটুকুতেই থেমে নেই এর উড়ান।
এইমুহূর্তে ভারতের সর্বোচ্চ আয়কারী অ্যানিমেটেড ছবি! যেখানে বড় বড় স্টার-কাস্ট ছবিরা হোঁচট খাচ্ছে, সেখানে এক পুরাণভিত্তিক এনিমেটেড সিনেমা দুরন্ত গতিতে এগিয়ে গেল। হ্যাঁ, আপনি ঠিক পড়েছেন—মহাবতার নারসিংহ এখন ভারতের সর্বকালের সর্বাধিক আয়কারী অ্যানিমেটেড ছবি।শুধু উইকেন্ড নয়, উইকডে-তেও একেবারে বুলেট গতিতে চলছে এই ছবি। দ্বিতীয় রবিবারে ২৩.১ কোটি টাকা নেট কালেকশনের পর, সোমবার ও মঙ্গলবারেও টিকিট বিক্রি ছিল যথাক্রমে ৭.৩৫ কোটি টাকা ও ৭.৭৫ কোটি টাকা!

পুরাণ থেকে নেওয়া ভক্তি, রুদ্রতা আর আশ্চর্য ভিএফএক্সের সংমিশ্রণেই তৈরি মহাবতার নরসিংহ—যার কাহিনি আবর্তিত হয় অসুররাজ হিরণ্যকশিপু ও তার ভক্তপুত্র প্রহ্লাদের চারপাশে। আর তার মধ্যেই উঠে আসে বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার, নারসিংহ-এর আগমনের রুদ্ধশ্বাস বর্ণনা।
অমিতাভের কৃতজ্ঞতা
মুম্বইয়ের জুহুতে রবিবার মানেই জলসার বাইরে ভক্তদের ঢল। আর বছরের পর বছর ধরে যিনি এই চিরন্তন ভালোবাসার ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন, তিনি অমিতাভ বচ্চন। এবারের রবিবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। জলসার গেট খুলে দাঁড়ালেন মহানায়ক—কখনও হাত জোড় করে, কখনও হাসিমুখে হাত নাড়িয়ে… আর আবারও মনে করালেন, কেন তিনি শুধুই এক অভিনেতা নন, এক আবেগ।নিজের ব্লগে অমিতাভ একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেন এই রবিবার দর্শনের স্মৃতি ধরে রাখতে। কোথাও তিনি ভক্তদের উদ্দেশ্যে হাত জোড় করছেন, কোথাও তাঁকে দেখা যাচ্ছে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো ফ্যানদের দিকে হাত নাড়তে।
এক ভক্ত লাল চাদর মাথার উপর ধরে তাঁকে উৎসর্গ করছেন। আরেক ভক্তের হাতে দেখা গেল অমিতাভের মুখখচিত একটি ট্যাটু।

ছবি পোস্ট করে বিগ বি জানান, তিনি এরকম ভালবাসার কাছে মাথা ঝোঁকান এবং আজীবন কৃতজ্ঞ। অমিতাভের এই একটি পংক্তিতেই যেন জীবনের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা, ভক্তদের প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা আর সময়ের অদ্ভুত যাত্রার মিশ্র প্রতিধ্বনি।
জনপ্রিয় দক্ষিণী অভিনেতার অকালমৃত্যু
কর্ণাটক সিনেমার আকাশে হঠাৎই ছায়া নেমে এল। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩০ নাগাদ বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন জনপ্রিয় স্যান্ডালউড অভিনেতা সন্তোষ বলারাজ। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই জীবন থেমে গেল এই প্রতিভাবান শিল্পীর।
গত মাসে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে সন্তোষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমদিকে কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও পরে অবস্থার অবনতি হয়। ফের একবার তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি কোমায় চলে যান। শেষপর্যন্ত একে একে লিভার ও কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আর ফিরলেন না তিনি। সন্তোষের অকালমৃত্যুতে স্যান্ডালউড তথা গোটা দক্ষিণী সিনেমা মহলে নেমে এসেছে গভীর শোক। বহু সহ-অভিনেতা, পরিচালক, সহকর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

সন্তোষ বলারাজ এমন একজন অভিনেতা যিনি নিজেকে গ্ল্যামার বা ফ্যান্টাসির বাইরে নিয়ে এসে রিয়েলিস্টিক সিনেমার দিকেই ঝুঁকেছিলেন।
‘গণপা’, ‘কেম্পা’, ‘কারিয়া ২’, ‘সত্যা’, ‘বার্কলে’—এই সব ছবিতে তাঁর রাফ-এজড পারফরম্যান্স তাঁকে এনে দিয়েছিল স্বতন্ত্র পরিচিতি।
বিশেষ করে 'গণপ্পা' ছিল তাঁর কেরিয়ারের বড় ব্রেকথ্রু। বাস্তববাদী গ্যাংস্টার চরিত্রে তাঁর সংযত অভিনয় মন ছুঁয়ে গিয়েছিল দর্শকদের।সন্তোষ ছিলেন প্রয়াত প্রযোজক অণেকাল বলারাজ-এর ছেলে। কর্ণাটক চলচ্চিত্র জগতে অণেকাল ছিলেন অত্যন্ত পরিচিত নাম। বাবার দেখানো পথেই এগোচ্ছিলেন সন্তোষ। কিন্তু জীবনের মাঝপথেই থেমে গেল সেই যাত্রা।
