বিনিয়োগ মানেই শুধু শেয়ারবাজার নয়—একটি সুশৃঙ্খল পোর্টফোলিও গড়ে তুলতে হলে ডেবিট ফান্ড বা ঋণ তহবিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। এগুলি তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং নির্দিষ্ট আয়ের লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের জন্য আদর্শ মাধ্যম।
2
11
ডেবিট ফান্ড মূলত সরকার, কর্পোরেট সংস্থা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ইস্যু করা বন্ড, ডিবেঞ্চার, ট্রেজারি বিল ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করে। অর্থাৎ, আপনি যখন একটি ডেবিট ফান্ডে বিনিয়োগ করেন, তখন পরোক্ষভাবে আপনি কোনো সংস্থাকে ঋণ দিচ্ছেন, যার বিনিময়ে আপনি সুদের আকারে রিটার্ন পান।
3
11
ডেবিট ফান্ডে বাজারের অস্থিরতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে, কারণ এগুলি ইকুইটির মতো দামের ওঠানামার উপর নির্ভর করে না। এর ফলে এটি ঝুঁকিপ্রবণ নয় এমন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিকল্প।
4
11
ডেবিট ফান্ডের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। যেমন লিকুইড ফান্ড, শর্ট-টার্ম বন্ড ফান্ড, কর্পোরেট বন্ড ফান্ড, গিল্ট ফান্ড ইত্যাদি। আপনার বিনিয়োগের সময়সীমা ও লক্ষ্য অনুযায়ী এগুলির মধ্যে বেছে নেওয়া উচিত।
5
11
লিকুইড ফান্ড: স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্য যেমন জরুরি তহবিল গঠনে উপযুক্ত।
6
11
শর্ট টার্ম বা কর্পোরেট বন্ড ফান্ড: ১–৩ বছরের লক্ষ্যে।
7
11
গিল্ট ফান্ড: সরকারী সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করে, তাই নিরাপদ কিন্তু রিটার্ন কিছুটা কম।
8
11
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের ভিত্তিতে উপযুক্ত ডেট ফান্ড বেছে নিন।
9
11
সময়সীমা বুঝে বিনিয়োগ করুন: তাড়াহুড়ো করে রিটার্ন আশা করবেন না; ফান্ডের পরিপক্কতার সময় বুঝে অপেক্ষা করুন।
10
11
নিয়মিত পর্যালোচনা করুন: সুদের হার ও বাজার পরিস্থিতি বদলালে ফান্ড পারফরম্যান্সও পাল্টাতে পারে।
11
11
ডেবিট ফান্ড বিনিয়োগের জগতে এক নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। ঝুঁকি কমিয়ে স্থিতিশীল আয়ের পথ তৈরি করতে এটি অপরিহার্য। আপনি যদি চান আপনার আর্থিক লক্ষ্য—যেমন বাড়ি কেনা, সন্তানের শিক্ষা বা অবসরকালীন সঞ্চয়—নিরাপদ ও নিশ্চিতভাবে পূর্ণ হোক, তবে সঠিকভাবে বেছে নেওয়া ডেট ফান্ড হতে পারে আপনার সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার।