ধনতেরাস ২০২৫-এর আগে সোনার দাম চমকপ্রদ বৃদ্ধি! ১ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা ১২,৫২৪, ২২ ক্যারেট ১১,৪৮১ ছুঁয়েছে।
2
9
২০২৫ সালে সোনার দাম আকাশচুম্বী বৃদ্ধি পেয়েছে — বছরে প্রায় ৬০% রিটার্ন দিয়েছে এই মূল্যবান ধাতু। ফলে অনেক বিনিয়োগকারী জানতে চাইছেন, আসলে কী কারণে এই সোনার দামের উল্লম্ফন?
3
9
টাকার অবমূল্যায়ন বাড়াচ্ছে সোনার দাম: ভারত প্রায় ৮৬% সোনা আমদানি করে, উচ্চ আমদানি শুল্ক থাকা সত্ত্বেও। ফলে যখন টাকা দুর্বল হয়, তখন ডলারের বিপরীতে আমদানির খরচ বেড়ে যায় এবং দেশীয় বাজারে সোনার দাম বৃদ্ধি পায়।
4
9
গোল্ড ইটিএফ ও ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ: সোনার গয়নার চাহিদা কিছুটা কমলেও, গোল্ড ইটিএফ ও ডিজিটাল গোল্ড-এর মতো বিকল্প বিনিয়োগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এটি সোনার দামের বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
5
9
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির সোনা কেনার ধুম: গত এক দশকে ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি ব্যাপক হারে সোনা কিনেছে। এই কেনার পরিমাণ গত ১০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। রাশিয়া ও ভারত তাদের সোনা মজুত ১.৬ গুণ বাড়িয়েছে। চীন বাড়িয়েছে ১.৩ গুণ।
6
9
বিশ্বের অনিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিম এশিয়ার অশান্তি, এবং বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য-শুল্ক সংঘাত সোনাকে “সেফ হেভেন অ্যাসেট” হিসেবে আবার জনপ্রিয় করে তুলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরার পর বাণিজ্য যুদ্ধ আরও জোরদার হয়েছে, ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।
7
9
মার্কিন ফেডের সুদের হার কমানো: মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার হ্রাস সোনার দামে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সুদের হার কমলে ডলারের মান কমে, ফলে সোনার দাম ও চাহিদা বাড়ে। আগামী মাসগুলোতেও আরও হার কমার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সোনার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
8
9
আগামী দিনে কী আশা করা যায়: স্বল্পমেয়াদে সোনার দাম ৩,৫০০–৪,০০০ প্রতি আউন্স সীমার মধ্যে স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও মার্কিন নীতির পরিবর্তনের ফলে বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত থাকতে পারে।
9
9
বিনিয়োগকারীরা সোনা ও রূপা ৫০:৫০ অনুপাতে বিনিয়োগ বিবেচনা করতে পারেন, কারণ রূপাও এখন আকর্ষণীয় দামে রয়েছে।