আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওঝার নির্মম অত্যাচারে সোমবার রাতে কর্ণাটকে ৫৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়৷ খবর সূত্রে জানা গিয়েছে তাঁকে ভুতে ধরেছে বলে সন্দেহ করে তাঁরই সন্তানরা। মৃত মহিলার নাম গীতাম্মা। শিবমোগা জেলায় সম্প্রতি এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে৷
খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর ছেলে সঞ্জয়ের বিশ্বাস ছিল কোনও অশুভ আত্মা তাঁর উপর চেপে বসেছে। ফলস্বরূপ এই বিপত্তি থেকে মুক্ত করার জন্য তাঁকে এক ওঝার কাছে নিয়ে যায় সঞ্জয়৷ গীতাম্মার ছেলে ও আরও দুজন যারা এই অস্বাভাবিক দাবি করেছিল তাদের বিরুদ্ধে গীতাম্মাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে যখন সঞ্জয় গীতাম্মাকে আশা নামের এক মহিলার কাছে নিয়ে যায়। তিনি দাবি করেন আত্মাকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবেন তিনি। এরপর আশা ও তাঁর স্বামী সন্তোষ, গীতাম্মার বাড়িতে আসেন। এরপর তথাকথিত ভুত তাড়ানোর কার্যকলাপ শুরু করেন। ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ পাওয়ায় দেখা যাচ্ছে গীতাম্মা অচেতন অবস্থায় এলোমেলো চুল নিয়ে মেঝেতে বসে আছেন। এরপর আশা গীতাম্মার মাথায় একটি লেবু ঘুরিয়ে দেন। তাঁকে এর গন্ধ শোকান। এরপর তা দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকেন।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, আশা গীতাম্মার চুল ধরে তাঁকে একাধিকবার থাপ্পড় মারেন। এরপর চলে লাঠি দিয়ে মারধর। গীতাম্মা নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করলেও প্রায় ঘন্টাখানেক এই আক্রমণ চলতে থাকে। অবশেষে বৃদ্ধা মহিলাটি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মারা যান।
ঘটনার জেরে সঞ্জয়, আশা এবং সন্তোষকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জেরা করছে অভিযুক্তদের। দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
