আজকাল ওয়েবডেস্ক: অভিশপ্ত বিমানের ছবি এখনও সকলের মনে তাজা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ। এবার বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা। আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৭০ জন।
এই বিমানটি লন্ডনের জন্য যাত্রা করেছিল। তবে বিজে মেডিক্যাল হস্টেলের ওপর এটি ভেঙে পড়ে। বিরাট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। এর আগে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ২৬৫। তবে শনিবার এই সংখ্যা বেড়ে হল ২৭০ জন।
এই বিমানে ২৪২ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, দুজন পাইলট, ১০ জন ক্রু মেম্বার। তাদের মধ্যে ২৪১ জনের মৃত্যু ঘটে। তবে আশ্চর্যভাবে প্রাণে বেঁচে যান এক ব্যক্তি। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
র্ঘটনার কারণ জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। কেন্দ্রীয় সরকার নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
দুপুর ১টা ১৭ মিনিট নাগাদ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ ভেঙে পড়ে বিমানটি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। দুর্ঘটনার ফলে আশেপাশের বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা যায়, বিমানটি ভেঙে পড়ে এক বহুতলের ওপর।
শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে গিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিশ্বকুমার রমেশ। আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় তিনিই একমাত্র যাত্রী, যিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
দেহগুলির পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে সেগুলিকে শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। এর থেকে আর অন্য কোনও উপায় নেই। তাই প্রতিটি দেহকে শনাক্ত করার কাজে চিকিৎসকরা তাদের ডিএনএ টেস্ট করছেন। পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ মিলে গেলে তবেই দেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
