আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবারের মহিলাদের বিশ্বকাপে ট্যাগলাইন ছিল ‘Will to Win’। প্রত্যেক স্টেডিয়ামে এই লেখাটা দেখা গিয়েছে। এই জেদ, জয়ের এই অদম্য ইচ্ছা নিয়েই তো বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিল ভারত।

পরপর তিন ম্যাচে হারের পরেও এই ‘Will to Win’ তাদের ফিরিয়ে এনেছিল জয়ের রাস্তায়। রবিবারের মেগা ফাইনালে যে শুধু ১১ জন ভারতীয় ক্রিকেটার লড়াইতে নেমেছিলেন, সেটা তো নয়।

‘Will to Win’- এর লড়াইয়ে যেমন সামিল হয়েছিলেন ১৪০ কোটি ভারতবাসী তেমনই এই লড়াইটা ছিল ভারতের পুরুষ দলের ক্রিকেটারদেরও। এদিন মাঠে এসেছিলেন রোহিত শর্মা, ভিভি এস লক্ষ্ণণ, শচীন তেন্ডুলকাররা।

যাঁরা আসতে পারেননি তাঁরা চোখ রেখেছিলেন টিভিতে। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি শেষ করেই সূর্যকুমারদের চোখ ছিল ম্যাচের দিকেই। হরমনপ্রীত ডি-ক্লার্কের ক্যাচ ধরতেই সেলিব্রেশনে মেতে উঠলেন সকলে।

ইতিহাস গড়ার পর হরমনপ্রীতদের অভিনন্দন জানালেন বিরাট কোহলি, শচীন তেন্ডুলকাররা। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শচীন লিখলেন, ‘১৯৮৩ সালের ঐতিহাসিক জয় যেমন এক প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখতে ও সেই স্বপ্নকে তাড়া করতে অনুপ্রাণিত করেছিল, আজ ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল সেই ইতিহাস নতুন করে লিখল। তাঁদের এই সাফল্য দেশের অগণিত কন্যাকে অনুপ্রাণিত করবে হাতে ব্যাট-বল তুলে নিতে, মাঠে নামতে, এবং বিশ্বাস রাখতে—একদিন তাঁরাও সেই বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে ধরতে পারবে। এই জয় নিঃসন্দেহে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের যাত্রাপথে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। অভিনন্দন টিম ইন্ডিয়া! তোমরা পুরো দেশকে গর্বিত করেছ’।

অভিনন্দন জানালেন বিরাট কোহলিও। এক্সে পোস্ট করে তিনি লিখলেন, ‘ভারতের মেয়েরা ইতিহাস গড়লেন! তাঁদের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে গর্বে ভরে উঠেছে গোটা দেশ। বহু বছরের পরিশ্রম ও অধ্যবসায় আজ বাস্তবের রূপ নিয়েছে। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং গোটা দলকে আন্তরিক অভিনন্দন। শুধু খেলোয়াড়রা নয়, দলের সঙ্গে যুক্ত সমগ্র সাপোর্ট স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টকেও ধন্যবাদ জানানো উচিত, যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এই জয়। Well Played Team India! এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপভোগ করো হৃদয়ভরে। দেশের অসংখ্য কন্যা এই জয় দেখে অনুপ্রাণিত হবে ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাধুলায় নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে’।

আর এক বিশ্বকাপজয়ী যুবরাজ সিং গোটা দল তো বটেই, বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দীপ্তি শর্মা, শেফালি ভার্মা, রিচা ঘোষকে।

তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা হল। ইতিহাসের পিছনে রয়েছে আমাদের উইমেন ইন ব্লু–র অদম্য মনোবল, দৃঢ়তা এবং অতুলনীয় দক্ষতা।  অদম্য জেদে গড়া এই দল একসঙ্গে মিলিত হয়ে এমন এক মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে, যা গোটা বিশ্ব কখনও ভুলবে না। স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁরা নিজেদের সমস্তটুকু উজাড় করে দিয়েছেন, শরীর-মন এক করে খেলেছেন শেষ বল পর্যন্ত। ব্যাট হাতে দুরন্ত শুরু করে ও বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন শেফালি ভার্মা। অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল দীপ্তি শর্মা ব্যাটে-বলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ধারাবাহিকতা, সৌন্দর্য ও দৃঢ়তায় ভারতের ব্যাটিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। রিচা ঘোষের আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ইনিংস ভারতকে রানের গতি বাড়াতে সাহায্য করেছে। বিশেষ অভিনন্দন হরমনপ্রীত কৌর এবং কোচ অমল মজুমদারকে। ভারত এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!’