আজকাল ওয়েবডেস্ক: লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৪ জন। ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, এআই ১৭১ ফ্লাইটে থাকা যাত্রী ও ক্রু সদস্যদের পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারাও হতাহতের তালিকায় রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি একটি মেডিক্যাল কলেজের ভবনে আছড়ে পড়ে। বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন—এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট এবং ১০ জন কেবিন ক্রু সদস্য।

এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে কেবলমাত্র একজন যাত্রী বেঁচে ফিরেছেন। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও।

দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)। কেন্দ্রীয় সরকার নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

দুপুর ১টা ১৭ মিনিট নাগাদ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ ভেঙে পড়ে বিমানটি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। দুর্ঘটনার ফলে আশেপাশের বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা যায়, বিমানটি ভেঙে পড়ে এক বহুতলের ওপর।

শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে গিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিশ্বকুমার রমেশ। আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় তিনিই একমাত্র যাত্রী, যিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।