আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে দেশের সবচেয়ে বড় নকশাল বিরোধী অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সূত্র। ইতিমধ্যে ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্র থেকে আসা ২০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী প্রায় ১ হাজার নকশালকে ঘেরাও করেছে। এপর্যন্ত কমপক্ষে ৫ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।

এই ব্যাপক অভিযান শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ঘোষণা অনুসারে, যেখানে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদী সমস্যার সম্পূর্ণ অবসান ঘটানোর কথা বলা হয়েছে। চলতি অভিযানের মূল লক্ষ্য শীর্ষ মাওবাদী নেতা হিদমা এবং ব্যাটালিয়ন প্রধান দেবার উপস্থিতি।

এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে জেলার রিজার্ভ গার্ড (DRG), বস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF), রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, সিআরপিএফ এবং এলিট কোবরা কমান্ডোরা।

নিরাপত্তা বাহিনী করেগুট্টা পাহাড়কে ঘিরে রেখেছে, যা ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তে অবস্থিত এবং যা মাওবাদীদের ব্যাটালিয়ন নম্বর ১-এর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ে ঘেরা এলাকা হওয়ায় অভিযানে চরম সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সম্প্রতি মাওবাদীরা স্থানীয় গ্রামবাসীদের ওই এলাকায় না ঢোকার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, জানিয়ে যে এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছে।

এই বছর ছত্তিশগড়ে বিভিন্ন সংঘর্ষে ১৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১২৪ জন বস্তার বিভাগে।

ঝাড়খণ্ডেও একইরকম কড়া অভিযান চলছে। গত সপ্তাহে বোকারো জেলায় কোবরা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে এক কোটি টাকার পুরস্কারপ্রাপ্ত এক শীর্ষ নেতাসহ ৮ জন মাওবাদী নিহত হয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, মাওবাদীমুক্ত ভারত গঠনের এই পদক্ষেপ এখন জাতীয় অগ্রাধিকার।