আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর পদ গিয়েছে, ক্ষমতা গিয়েছে দিল্লির মসনদ থেকেও। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার প্রায় এক বছর পর, আম আদমি পার্টি (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিতে নতুন বাসভবন পেলেন সরকারের তরফে।
যদিও কেজরির নতুন ঠিকানা হলেও, তা নাকি তাঁর প্রথম পছন্দের নয়। সূত্রের তথ্য, নিজের নয়া ঠিকানা হিসেবে তিনি যে বাংলো চেয়েছিলেন, সেটি পাননি । বদলে অন্য একটি বাসভবন বরাদ্দ করা হয়েছে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নামে।
কেজরিওয়ালকে, একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের জাতীয় সভাপতি হিসেবে উপযুক্ত বাসস্থানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট এবং সেই হিসেবেই তাঁকে নয়া বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বুধে উত্তরবঙ্গে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? বন্যা-বিধ্বস্থ পাহাড়ে শাহি-সফর নিয়ে জোর জল্পনা
তথ্য, কেজরিওয়ালকে ৯৫, লোধি এস্টেটে একটি 'টাইপ সেভেন' বাংলো দেওয়া হয়েছে, যেখানে তিনি এখন থাকবেন। এর আগে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৩৫, লোধি এস্টেট বাংলোটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিনি, সূত্রের খবর তেমনটাই। জানা গিয়েছে, আগে ওই বাংলো মায়াবতী ব্যবহার করতেন। কিন্তু ওই বাসস্থান তখন আর ফাঁকা ছিল না। কেজরির আবেদনের আগেই জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীকে ওই বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশের পর, সোমবারেই ওই বাড়িটি পরিদর্শন করেন খোদ কেজরি।
কেমন হবে কেজরিওয়ালের নয়া ঠিকানা?
প্রথমেই জানা যাক, একটি টাইপ সেভেন বাংলোতে কী কী সুবিধা থাকে?
'টাইপ-VII' বাংলোতে সাধারণত চারটি শোওয়ার ঘর, বড় লন, একটি গ্যারেজ এবং তিনটি কর্মীদের কোয়ার্টার সঙ্গে অফিসের জন্য জায়গা থাকে। বাড়িটির আয়তন প্রায় ৫,০০০ বর্গফুট । কেজরিওয়ালের নতুন বাড়িতে লন এবং অফিস রয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজো মিটিয়ে অফিস খুলতেই মেট্রোয় বিভ্রাট! মঙ্গলেই থমকে গেল দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়ার পরিষেবা
কে হচ্ছেন কেজরিওয়ালের পড়শি?
তথ্য, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পড়শি হচ্ছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। শশী থারুরের বাংলোর ঠিকানা ৯৭ নম্বর। ৯৬ নম্বর বাংলো সেনা কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ। আরজেডির মিসা ভারতী এবং কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জন্য বরাদ্দ বাংলোর নম্বর ৮১ এবং ৮২।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ । দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন কেজরিওয়াল। তারপর থেকে কেজরিওয়ালের কোনও স্থায়ী সরকারি বাসভবন নেই। ৪ নভেম্বর ৬, ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে তাঁর সরকারি বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার পর, তিনি অস্থায়ীভাবে পাঞ্জাবের আপের রাজ্যসভার সাংসদ অশোক মিত্তলের ৫, ফিরোজশাহ রোডের বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
তাহলে এখন শিশমহলের কী হবে?
দিল্লি সরকার কেজরিওয়ালের ৬, ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের পুরনো সরকারি বাসভবন, যা তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সংস্কার করা হয়েছিল এবং পরে দুর্নীতির অভিযোগের কেন্দ্রে এসেছিল, সেটিকে একটি ক্যাফেটেরিয়া-সহ একটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করেছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, শিশমহল নিয়ে এক সময়ে দিল্লির রাজনীতিতে জোর জলঘোলা হয়েছে।
