আজকাল ওয়েববেস্ক: স্কুলে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল হয়নি। পড়াশোনায় মন নেই ছেলের। বরং সারাদিন মোবাইল ফোনেই গেম খেলায় মন তার। এর জেরেই ছেলেকে নৃশংসভাবে খুন করলেন এক ব্যক্তি। ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে, দেওয়ালে বারবার মাথা ঠুকে খুন করলেন ১৪ বছর বয়সি ছেলেকে। খুনের ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে শেষকৃত্যের আয়োজন পর্যন্ত করেছিলেন। অবশেষে পুলিশি তদন্তে ফাঁস হল খুনের ঘটনাটি। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার বেঙ্গালুরুর কুমারস্বামী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সকালবেলায় নবম শ্রেণির ছাত্র তেজাস বাবার কাছে আবদার করেছিল, মোবাইল ফোনটি যাতে সারিয়ে আনেন। ছেলের আবদার শুনেই চটে যান রবি কুমার। সামান্য বকাঝকার পরেই ছেলেকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন তেজাসের মা। কিন্তু একবারও স্বামীকে বাধা দেননি। 

 

জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোনে আসক্তির জেরে ছেলেকে ব্যাট দিয়ে ব্যাপক পেটান তিনি। এরপর কয়েকবার দেওয়ালে সজোরে মাথা ঠুকে দেন। সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে তেজাস। তবুও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি কেউ। অবশেষে দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

 

পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতে রক্তের দাগ মুছে ছেলের শেষকৃত্যের আয়োজন করেছিলেন রবি। প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন, ছেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এরপরই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তেজাসের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। রিপোর্টে মাথায় ও শরীরের আঘাত ও রক্তক্ষরণের বিষয়টি ধরা পড়ে। 

 

পুলিশি জেরায় ছেলেকে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেন রবি। তাঁর স্ত্রী জানান, ছেলেকে মারধরের সময় রবি বারবার বলছিলেন, 'তুই বেঁচে থাক বা মরে যাস, আমার কিছুই যায় আসে না।' এই বলে বারবার দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেন। খুনের পর ব্যাটটি লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। বর্তমানে তাঁকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।