আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্টেডিয়ামের ভিতরে আলো, উচ্ছ্বাস, তারকাদের উপস্থিতি। সেই আলোর ঝলকানির নাগাল পেতেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন তাঁরা। ভেবেছিলেন মুহূর্তের সাক্ষাৎ, অন্তত একবার চোখের দেখা, সারাজীবন মনে থাকবে যা। কিন্তু তাঁদের জন্য কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি অপেক্ষা করেছিল ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি কেউ। ভিতরে যখন উচ্ছ্বাস, আলো, তখন চোখের সামনে চলে যাবে তাজা প্রাণ!

যাঁরা ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, কোনওরকমে ফিরেছেন হাতে প্রাণ নিয়ে, তাঁদের চোখে মুখে ভয়াবহতার ছাপ। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিড়, বিশৃঙ্খলার বেশকিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সকলেই এক তাড়ায়। ভিড়ের চাপে কেউ বুঝতেই পারছেন না কিছু। জনজোয়ারের মাঝে দাঁড়িয়ে কারও বুকের ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছেন কেউ। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক যুবক মাটিতে পড়ে থাকা অন্য যুবকের উপর দিয়ে পেরিয়ে গেলেন। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক পোস্ট। যেখানে ভিড়ের, বিশৃঙ্খলার ভিডিও পোস্ট করে পোস্টদাতা লিখেছেন, ‘এখানে মানুষ মারা যাচ্ছে, আর দয়া করে কেউ আসবেন না এদিকে।‘  

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 4, 2025

মঙ্গলবার আইপিএল জেতার পর বুধবার বেঙ্গালুরুতে উৎসবের কথা আগেই জানিয়েছিল আরসিবি কর্তৃপক্ষ। বুধবার বেঙ্গালুরুর চার্ডার্ড বিমান নামার আগে থেকেই বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমতে শুরু করে। যত সময় গড়ায় তত ভিড় বাড়তে থাকে। বিকালে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ট্রফি নিয়ে উল্লাসের কথা ছিল কোহলিদের। তার অনেক আগে থেকেই চিন্নাস্বামীর বাইরে ভিড় জমান হাজার হাজার দর্শক।

কোহলিরা যখন কর্নাটক বিধানসভায় সংবর্ধিত হচ্ছিলেন, সেই সময় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত জানা গিয়েছে, চিন্নাস্বামী কাণ্ডে প্রাণ গিয়েছে ১১ জনের। আহত ৩৩জন। কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে এই তথ্য। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।

কর্ণাটক বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি আঙুল তুলেছে কংগ্রেসের দিকে। পোস্টে লেখা, ' বাইরে যখন নিরপরাধ মানুষেরা মারা যাচ্ছিলেন, তখন শিবকুমার-সিদ্দারামিয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে রিল শুটিং এবং লাইমলাইটে ব্যস্ত ছিলেন। এই ছবি তোলা কংগ্রেস সরকারের প্রতি লজ্জা। এটা অপরাধমূলক অবহেলা। কংগ্রেস সরকারের হাতে রক্ত লেগে আছে।'