আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এবার স্বামীকে খুনে প্রেমিককে সাহায্য করলেন স্ত্রী। শুধু তাইই নয়, স্বামীর মৃত্যুর পর সেই ঘরেই প্রেমিকের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মেতে ওঠেন স্ত্রী। ভয়াবহ ঘটনাটির তদন্তে নেমে শিউরে উঠেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমস্তিপুর জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সি মৃত যুবকের নাম, সোনু ঝা। নিজের বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হন সোনু। পেশায় যুবক একজন রিক্সা চালক ছিলেন। পুলিশি জেরায় সোনুর স্ত্রী অস্মিতা ঝা স্বীকার করেছেন, স্বামীকের নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার সাক্ষী ছিলেন তিনি। এমনকী এই ঘটনায় তিনিও জড়িত। মূল অভিযুক্ত, অস্মিতার প্রেমিক হরিওম ঘটনার পর থেকে পলাতক।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। সেদিন গভীর রাতে কাজ সেরে হঠাৎ বাড়ি ফিরেছিলেন সোনু। যা সচরাচর হয় না। সেদিন রাত দেড়টা নাগাদ মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়ি ফিরেই ঘরের মধ্যে অস্মিতা ও হরিওমকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর উদ্দাম যৌনতার মাঝেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি।
পুলিশকে অস্মিতা জানিয়েছেন, রাত দেড়টা নাগাদ তিনি ও প্রেমিক একটি ঘরে ছিলেন। গভীর রাতে সোনু রিক্সা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। সেই সময় যে সোনু বাড়িতে আসবে, তা আগে থেকে টের পাননি তিনি। জানতেন না, সেই সময় তিনি বাড়িতে ফিরবেন। ঘরে ঢুকেই তাঁকে ও হরিওমকে অশালীন অবস্থায় দেখে ফেলেন।
গত ২০১৭ সালে সোনু ও অস্মিতা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। অশান্তির সূত্রপাত দুই বছর আগে। হরিওম ঝা পেশায় গৃহশিক্ষক। অস্মিতার ছেলেদের বাড়িতে পড়াতে আসতেন। যে সময় তিনি বাড়িতে আসতেন, তখন কাজে বাইরে থাকতেন সোনু। সেই সুযোগে হরিওমের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অস্মিতা।
শুক্রবার রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রী ও হরিওমকে একসঙ্গে দেখে রাগে ফেটে পড়েন সোনু। তখনই হরিওমকে মারধর করতে শুরু করেন। পাল্টা লাঠি দিয়ে সোনুকে আঘাত করতে শুরু করেন হরিওম। অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবক। বিদ্যুতের তার তাঁর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। সোনুর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইলেক্ট্রিক শক দেন হরিওম।
ঘটনাটি এখানেই শেষ নয়। সোনুর মৃত্যুর পর অস্মিতা ও হরিওম যা করেন, তা পুলিশকে আরও চমকে দেয়। জানা গেছে, সোনুর মৃতদেহের পাশেই উদ্দাম যৌনতায় মেতে ওঠেন দু'জনে। রাতে একাধিকবার সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে হরিওম পালিয়ে যান। এই ঘটনার পর পুলিশকে অস্মিতা জানিয়েছিলেন, সোনুর মৃত্যু দুর্ঘটনার জেরে ঘটেছে। তিনি জানিয়েছিলেন, ইলেক্ট্রিক শকের জেরে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ঘটনাটি ঘিরে প্রথম থেকেই সন্দেহ হয়েছিল সোনুর বাবার। দেওয়ালে তিনি রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছিলেন। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর, ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, সোনুর শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে অস্মিতাকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
