আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের পর সুখে সংসার করবেন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ঘটল ঠিক উল্টোটা। বিয়ের পর সংসারে বাড়ল আরও অশান্তি। নিত্যদিন স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা। সেই আগুনে আরও ঘি ঢালার অভিযোগ শাশুড়ি ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে। অবশেষে চারমাসের মধ্যে ছেড়ে গেল স্ত্রী। হতাশায় ও একাকিত্বে ভুগে চরম পদক্ষেপ করলেন যুবক।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে। ৭ জুন চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন যুবক। মৃতের নাম, আনন্দ দেবাঙ্গন। আত্মহত্যার আগে ইউটিউবে ৩০ মিনিটের একটি ভিডিও তিনি পোস্ট করেছিলেন। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার জেরেই চরম পদক্ষেপ করতে চলেছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
ভিডিওবার্তায় আনন্দ জানান, গত বছর ২৭ নভেম্বর তাঁর বিয়ে হয়। ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে পাকাপাকিভাবে চলে যান। বিয়ের ঠিক চার মাস পরেই স্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া, মন থেকে মেনে নিতে পারেননি তিনি। চরম পদক্ষেপ নেওয়ার আগেরদিন স্ত্রীকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু স্ত্রী স্পট নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
আনন্দ জানিয়েছিলেন, বিয়ের পর নিত্যদিন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা স্ত্রীকে ২০ থেকে ৩০ বার ফোন করতেন। শ্বশুরবাড়ি এবং আনন্দের সম্পর্কে কুমন্তব্য করতেন। তাঁরাই ভুল বুঝিয়ে স্ত্রীকে সংসার ভাঙতে বাধ্য করেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও, সংসারে ফিরতে নারাজ স্ত্রী। বিশেষত শাশুড়ি ও শ্যালিকা সংসার ভাঙার পরামর্শ দিতেন স্ত্রীকে।
আনন্দ জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে পরিবারের সকল সদস্যকে হেনস্থা করেন। না জানিয়ে গর্ভপাত করান। চরম দুর্ব্যবহার সহ্য করেও স্ত্রীকে ছাড়তে চাননি তিনি। অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
