আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যস্ত থানায় আচমকা হাজির বিধবা মহিলা। থরথর করে কাঁপছে গোটা শরীর। দুই হাতে রক্ত মাখা হাতুড়ি আর ছুরি। তাঁকে দেখেই প্রথমে চমকে যায় পুলিশ। সদ্য খুন করে এসেই থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপর তরুণীর বর্ণনায় চোখ ছানাবড়া তাদের।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে নয়া দিল্লিতে। প্রেমিককে খুন করে থানায় এসে সবটা জানান ২৮ বছরের তরুণী। খুনের ঘটনায় তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃতদেহটিও উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে মুকুন্দপুর এলাকায়। তরুণীর স্বামী ২০১৮ সালেই মারা যান। তাঁদের চার সন্তান। তিনজন ছেলে ও একজন মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন তরুণী। গত দুই বছর ধরেই তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণ বিবাহিত ছিলেন। তাঁরও এক সন্তান রয়েছে।
তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও গত কয়েক মাস ধরেই তাঁকে ও তাঁর চার সন্তানকে চরম হেনস্থা করতেন তিনি। এমনকী শারীরিক নির্যাতনও করতেন। মঙ্গলবার দুপুরে মত্ত অবস্থায় তরুণীর বাড়িতে আচমকা ঢুকে পড়েন। তারপর অকথ্য গালিগালাজ করে হেনস্থা করা শুরু করেন। রাগের মাথায় তাঁকে খুন করেন তরুণী। মাথায় পাথর দিয়ে মেরে অজ্ঞান করে, হাতুড়ি, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন তাঁকে। ঘরের মধ্যে মৃতদেহটি রেখেই থানায় যান। পুলিশ জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকের দেহ উদ্ধার করে।
